হাতটা সরিয়ে নাও
খাতুনে জান্নাত
…................

হাতটা সরিয়ে নাও
এখানেই পড়ে থাক বৃক্ষের বাকল
আমি শুষে নিই রস,
আঁজলায় তুলে আনি এঁদো ডোবা, বিস্তর জলের ক্রন্দন।

এখানে যে মিশে আছে পিতার গায়ের ঘাম,
মুগুরের ওঠা নামা অবিরাম,
ঢেলার গুড়োয় বাঁধা বলদের টান।
মায়ের বড়শি পাতা পুকুরের কোণে
কুমড়ো ফুলের লতা এঁকেবেঁকে খোঁজে  জীবনের তল।

এখানে যে কার কায়া দূর অতীতের মতো!
ঝাঁপ ফেলা দোকানির দিন ভাঙা স্বর,
পড়শির কানাকানি
ধুলোর ভূমিতে বাতাসের সাথে
নারীর কান্নার ধ্বনিতে শিশুর প্রথম ক্রন্দন।
তারপর কোলাহলে জীবন-চক্র
টানে রশি কার হাতে কোনো কালে বেঁধেছে নিয়ম।

পড়ে থাক এ বেলা এখানে।
শরীরের রোমে রোমে পোঁতা বিচিত্র কলম;
অদলবদল হিসাবের খেরো পাতা
অদলবদল মননের ধার
অদলবদল খড়ি মাটি, ছক টানা
অদলবদল নুন, পান, চুন।

হাতটা সরিয়ে নাও
এখানেই থেমে থাক কিছুটা জনম।


...........................