উজ্জীবন
...
চেতনার গৌরবে ভাসিয়ে রক্তবন্যা.
গর্বিনীর সন্তানেরা আঁকে তিলক..
উদ্দীপ্ত চির আক্রান্ত মাটির শ্যামল হৃদয়।
সে হৃদয়ে চালায় কে যেন শাবল কোদাল;
করোটির আঁকে বাঁকে ধূসর পেরেক।
বর্ণমালা আসো আঁতুড় ঘরের শিয়রে দাঁড়াই।
সদ্য জন্ম-নেয়া শিশুর বিস্ময় নিয়ে
পরিচিত আসর যেখানে ধ্বনিত।
আসো প্রিয়তম কোমল করতলে--
বিশ্বাসের দৃঢ় চাপ হ’য়ে দেই বন্ধনের নির্মল টান।
যেভাবে গোপন চিঠির খাম--
ভগ্ন-ভালোবাসার পুণঃ-নির্মাণে একাত্ম
বিভেদ আর ভুলের সমাপ্তি।
চেয়ে দেখো--
ভালোবাসা হীনতায় জন্ম নেয়া উদ্ভ্রান্ত দৃষ্টির অন্দরে
কী নিরুদ্বেগে ঢোকে দুষিত বাতাস!
ভগ্ন মেরুদণ্ডে নির্লজ্জ চাটি মারে
অন্ধকারের বিহ্বল আবেগ!
এসো প্রিয়তম শব্দের আদরে
হাত ধরাধরি করে হাঁটি ঐতিহ্যে-আবহে
মাটির অতল থেকে তুলে আনি শস্যের আদি নির্যাস
সৌরভে যার পূর্ণ ছিল--
আড়ত , গোয়াল, পুকুর, সবুজ বন ও ফলের সমারোহ।
ও বর্ণমালা তুমি উঠে আসো
প্রাকৃত জনের হ’য়ে--পুনরুদ্ধারে আপন অহং--
আর প্রাণের প্রিয় ভিটায় জ্বালো অবিরাম,
ভালোবাসা অনির্বাণ।
.............
একুশ
.........
ঘুমের ভেতর কাঁপে--
শৈশবের আধ ছেঁড়া ধারাপাত,
ভোরের সারগাম।
মা নেই, রয়ে যায় মায়ের অক্ষর।
টুনটুনি দোয়েল শিস
ডাল -ডুমুরের প্রাণ
সাথে কিছু মাটিয়া নির্যাস
কচু ও ঘেঁচু স্বাদ--
আঁচলে নিয়েছি বেঁধে
ছড়িয়েছি পথেঘাটে
কত যে বাড়তি ব্যয়।
ঘামের গরল কুরে
দূরত্বের ধোঁয়াশা ফোঁড়ে
চকিতে কে ডাকে!
ভাসে ও বর্ষণ হয়
ভাষার অহংবোধে একুশ বিস্ময়!