বীরাঙ্গনা মা
খাতুনে জান্নাত
..............................
বীরাঙ্গনার কালো নেকাবে ঢেকে রেখেছি
স্বাধীনতার সুবাস
তোমার সম্ভ্রমহানি লজ্জা ও বিষাদে ঘুরে ফিরে
সমাজ ও সভ্য রাষ্ট্রের সংবিধানে ছায়া হয়ে  দাঁড়ায়

দিতে পারিনি কিছুই
দাবানলের করপুটে এক ফোঁটা জল,
শয়ন কক্ষ, এক চিলতে উঠোন-
সাজানো ঘটিবাটি, খাবারের নির্যাস
কেবল হরণ করা
বেঁচে থাকবার পরিচ্ছদ,
মাথা তুলে দাঁড়াবার পরিচয়।।

যে উড্ডীন পতাকায় তোমার রক্তাক্ত ইতিহাস
সে পতাকা কেড়ে নেয় প্রাণের নিঃশ্বাস
হে দুর্ভাগা মা আমার
দুর্ভাগা দেশটির মতো
ময়লা জীবাণু
কুরে কুরে খায় হৃদয়ের আয়োজন

হে দুর্ভাগা মা আমার
তোমাকে ছিন্নভিন্ন করে যারা এ দেশের বুকে রাখে পা
রুখতে তাদের
এ কষ্টের বেড়ি ভেঙে, আগুন বুক পেতে দাঁড়াও
ঝলসে দাও সামাজিক সুঢৗল গ্রন্থি
যা তোষণ করে,
করে তোষণের পরিতোষণ
আর যারা চেয়ে থাকে নির্বিকার
নির্যাতিতের নিকষ আঁধারে কত হারাবে
নীরবে নীরবে!

অভিমানী মা আমার
কেন বোঝ না
তোমার অপরিণত সন্তান দিতে পারবে না কিছুই!