১.
খরায় পুড়ছে শহর ও শহরতলী— কাকের কর্কশ স্বরে মিশিয়ে দি দহনপোড়া চিৎকার—কেউ শুনতেই পায় না।
২.
ঘেটুপুত্রের কাছে শিখেছি দুঃখগুলোকে কৌতুকে উড়ানো ঔদার্যের কথা। রাতভর দুঃখ মেখে গড়িয়ে পড়া দেহপসারিণী সকালের রোদে ধুয়ে নেয়, অবলীলায়। তার মনের বৃষ্টিতে ধুয়েছি সকাল, কতকাল।
৪.
উঠে দাঁড়াতেই কয়েকজন যুবা পায়ের বুটে পিষে চলে গেল—সেই থেকে ধুলো হ’য়ে আছি। মাঝে মাঝে তোমাদের চোখে পড়ি—
৫.
ভোরের আলো ফুটতেই এ পাড়ার মেয়েরা গান গা্ইতে-গাইতে পাথর ভাঙতে যায়—একটাও পাথর ভাঙা হয়নি—সবকটা পাথর বুকে বেঁধে এ-ঘর ও-ঘর করি।
৬.
পরীক্ষায় নকল হয়, নকল প্রশ্নও পাওয়া যায় অনলাইনে, রেঁস্তরা ও রাস্তায়। সের, ছটাক, পোয়া ও গ্রাম দরে বিক্রি হয় মগজ ও মনন—আমরাও ভুল বানান ও হরফে এর-ওর হাতে ফেরি হই। নকল ফুল হ’য়ে চেয়ে থাকি দুর্বোধ্য সম্পর্কের দিকে…
৭.
অঘ্রান বিদায়ী সুর ভাঁজতে-ভাঁজতে বাতাসে মিশিয়ে দিচ্ছে শীতের কণিকা। তার সাথে বদলে যাচ্ছে আমাদের পোশাক, প্রাতরাশ, বিকেলের আয়েস, রাতের ঘুম—শুধু শ্রেণী বৈষম্যের পীড়নটাই ঘুরে ফিরে আসে।
৮.
বৃষ্টি এক পাগলী মেয়ের নাম—তার শরীর সারাতে গিয়ে মনকে বলাৎকার করে যে এলো সে এখনো অহিংসা ও সাম্যের কথা বলে!
৯.
রোদের দহন সয়েছো কখনো? এই যে সোমত্ত মন পুড়ে যায়, গলে যায়; গলে-গলে মিশে যায় ঘাম ও গরলে—তোমরা মাঝে মাঝে অমৃত মনে করে পান করতে বসো।
১০. প্রদীপটা নির্ভাবনায় জ্বলছে। সে জানে তার সাথে চলতে-চলতে রাত সকালের কাছে ঠিকই পৌঁছে যাবে।
১১.
কাল সারারাত বৃষ্টিরা কাঁদলো।