১.
কবেই নিজস্ব কক্ষপথ ছাড়িয়ে এসেছি। এখনো ভোরের বাতাসে শৈশব ঘ্রাণ, দুপুরের জারুল ফুল। ও পাড়ার মাসি-পিসিরা উলুধ্বনিতে মাতিয়ে রাখতো সন্ধ্যা; তাদের পায়ের ছাপে কতকালের গল্প! এখনো পাথুরে পথের ছায়ায় সে ধ্বনি-প্রতিধ্বনি…
২.
পুলি-পিঠা-পায়েসের কাছে জমানো মায়ের স্নেহ। তাল, তমাল, তেঁতুই পাতা আর পাখিদের ঠোঁটে শৈশবের উচ্ছলতা। শীতের সকালে রোদ পোহাবার প্রহরের কাছে মুড়ি, চিঁড়া, খৈ এর আহ্লাদ— পিছু নেয়া মুরগির আঁচড়ে-কাটা ক্ষত থাকুক শৈশব আঙুলে।
৩.
সন্ধ্যার কাছে ফেরত চেয়েছি ঘরে ফেরা বাসনা; শিরিষ শাখায় শেষ বিকেলের ছায়া। বাল্যসখী তোমার গোধূলি-চোখে বিদায়ী কাতরতা— তুমি ভালো থেকো—
৪.
কেমন আছো খোয়াসাগর দিঘি? গাঁয়ের বৌ’দের গোসলের গল্প আর সিঁদুরধোয়া জল। কুমার বাড়ির ঋতুবতী মেয়েটিকেও দিও ঠাঁই মূহুর্মুহু ঢেউয়ে…
৫.
কাটতে-কাটতে কাটিয়ে এসেছি শহুরে কঙ্কর ও কাঁটাতার—ও আমার বাটুই ফুল, পাকা জামরুল উঠে আসো শহরের খোপে—সন্ধ্যার সুগন্ধি আর জাফরান রঙে একাকার হোক ক্লান্তির বিনিময়ে ক’ফোঁটা ঘামের দাম...