হে স্রষ্টা, হে মহান,
আমি অন্ধ বান্দা অধম ভালোমন্দ বুঝিতে না পাই
নিরর্থক আস্ফালনে সীমা লঙ্ঘিবারে যাই
উড়ে উড়ে ঘুড়িসম শূন্য হাওয়ায় ভাসমান,
ভুলে যাই, ক্ষুদ্র আমি, তোমার হাতে রয়েছে নাটাই
সুতায় রয়েছি বাঁধা অবুঝ পশুর সমান।
হে স্রষ্টা, হে মহান।
হে স্রষ্টা, হে মহান,
ভুলে আছি বেঘোর কিসের লাগি মোর হেথা আগমন
দুদিনের মুসাফির আমি, হেথা ক্ষনিকের জীবন,
হেলায় খেলায় কাটিছে সময় মিছে পেরেশান
বিলাস বৈভব রইবে পড়িয়া জীবনের যত আয়োজন
নিমেষে গুটাবে ঘুড়ি যখনই পড়িবে সুতায় টান!
হে স্রষ্টা, হে মহান।
হে স্রষ্টা, হে মহান,
ক্ষীণ দূর্বল, ভেসেছি অকুল গুনাহের অনন্ত সাগরে
কিছু নাই হাতে নিয়ে যাব সাথে ঘনঘোর কবরে
পাতক আমি সহায় যে তুমি, তুমিই তো রহমান
ভাঙিবে মেলা বিদায়ের বেলা যেতে হবে নিজ ঘরে
পুণ্যের খাতা শূন্য মম পাপের বোঝা জমেছে অফুরান!
হে স্রষ্টা, হে মহান।
হে স্রষ্টা, ওগো দয়াময়,
যতই পাপী হইনা আমি, মুখ ফিরিয়ে যেথায় যাই
প্রভু আমার শুধুই তুমি, তোমার কাছেই ভিক্ষা চাই
স্মরণে তোমার মরণে আমার ঈমান যেন সঙ্গী হয়
বিচারের দিনে হিসেব না টেনে পদতলে দিও মোরে ঠাঁই
'দয়াময় তুমি' জানিয়াছি আমি, এ সত্য যেন অটুট রয়।
হে স্রষ্টা, ওগো দয়াময়।
---- খছরুজ্জামান্
২৫/০৮/২০২১ইং