তোমরা বাঁধনি ঘর সভ্যতার ঝাঁঝালো আলোর নীচে
নগরে, শহরে বন্দরে কিংবা কোনো সৌখিন সী-বীচে  
   তোমাদের বিপন্ন জীবন আমরা পারিনি বাঁচাতে
  প্রাণ তাই নিয়েছিল আশ্রয় হিংস্র পশুদের সাথে,
   গ্রামে নয়, গঞ্জে নয়, জনপদ হতে দূরে, বহু দূরে
           অরন্যের গহীনে, বন হতে বনান্তরে। ------

    সভ্য ইমারত জানেনা ক্লেদাক্ত জীবনের ভার
       আমরা দেখিনি কখনো বিচ্ছিন্ন আঁধার
     আলোহীন বায়ুহীন প্রাণের স্ফুরণে নির্জন
প্রসব বেদনা তোমরা সহিছ কত, নির্বাক অনির্ভর,
পরম্পরায় সাক্ষী আছে শুধু তোমাদেরই বংশধর
  অতঃপর, প্রস্ফুটিত জীবনের সুরভিত আনন্দ
সহসা কাঁপিয়ে দিলে আপোষহীন ক্ষমতার অলিন্দ
       স্বাক্ষরিত হলো আগামী এক ইতিহাস!
        হতদরিদ্র পর্ণকুটিরের নির্মম বিনাশেই  
   পালিত হবে গগনচুম্বী ইমারতের বিজয় উল্লাস!

বিশ্বাস করো, হতো যদি ভুমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় কিংবা  
           ঈশ্বর প্রদত্ত কোন প্রলয় নির্ঘাত
         ক্যামেরার সামনে তাহলে নির্দ্বিধায়
      এগিয়ে আসতো অজস্র সাহায্যের হাত,
বিদ্বেষ আর হিংসার দাবানলে মানুষ যে অসহায়
      ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়!

    অতএব, অবাঞ্ছিত হে শতসহস্র লাঞ্ছিত প্রাণ!
তোমাদের নালিশ পৌছে দাও অনন্তের কানে কানে    
     ব্যাথিত ক্রন্দন ধ্বনিত হোক প্রাণ হতে প্রাণে
     তোমাদের রক্তে রঞ্জিত হোক সভ্যতার ইমারত,
  আকাশের ঠিকানায় পৌঁছে যাক তোমাদের আর্তস্বর
       তারপর সময়ের খাতায় জমা হওয়া প্রতিটি
         রক্তবিন্দু, প্রতিটি হাঁড় মাংসের ও প্রাণের
      সঠিক জবাব দিক তোমাদের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর!
                                                    
                                        ---- খছরুজ্জামান্
                                           ২৫/০৯/২০২১ ইং