নব্বই দশকের মায়াবতী
---শ্রী সজীব চন্দ্র খাসকেল ---
আমি যার প্রেমে পড়েছি নব্বই দশকে
সে নিঃসন্দেহে এক মায়াবতী নারী।
যাকে ভুলে থাকা সম্ভব হয়নি কখনো,
তাকে ভুলতে আজও আমি পারিনি।
যে এসেছিল ঝড়ের মতো করে কম্পিত শিহরণে
এ হৃদয়ে জেগে ছিল সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ।
সেদিন বেজে ছিল আকাশে বাতাসে শঙ্খ ধ্বনি,
আলোড়িত মুখরিত হয়েছিল এ হৃদয় খানি।
তারি মাঝে প্রকৃতির প্রশান্তির নিঃশ্বাস ফেলা।
হাজারো জনসমুদ্রের ভিরে আমি খুঁজে পাই তারে
ছল ছল নয়নে অকাল বদনে, ফেল ফেলিয়ে তাকিয়ে থাকে মোর দেহ পানে,
সে কি ভালোবাসে আমায় প্রশ্ন করিনি,উত্তর খুঁজিনি
তার ওই অবুঝ শিশুর মতো মলিন চাহনি আর গভীর হৃদয়ের আকুতি,
যা আমার হৃদয় স্পর্শ করেছিল
আমায় তার প্রতি বেকুল হতে বাধ্য করছিল এ ধরুনি।
আমি তার মাঝে এ পৃথিবী লোকে স্বর্গ খুঁজে পেয়েছিলাম
যার আনন্দ অজেয় কে জয় করবার মতো।
তার প্রতি ছিল আমার গভীর শ্রদ্ধা ভক্তি ভালোবাসা,
যাকে একবার ভালোবেসে ছিলাম,
তাকে অবহেলা করবার মতো শক্তি আমার ছিলনা।
যাকে দেখে মুল্যবান হীরা মনি মুক্তাও আপসোস করে বলে,
পেতাম যদি তার হাতের ছোঁয়া,তবে সার্থক হতো মোদের মনি মুক্তা হওয়া।
ষড়ঋতু বসন্ত ডেকে বলে আমায় তুমি সঙ্গী করে নাও তোমার দলে
নয়তো আমার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে তোমার সঙ্গ না পেলে।
সে ছিল সাধারণ এক নারী, অসাধারণ ছিল তার ব্যক্তিত্ব
যার প্রেমে পরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।
সে যে আর কেহ নয়,নব্বই দশকের এক মায়াবতী নারী।