মায়াবতী শ্যামাঙ্গীনি
লেখকঃ শ্রী সজীব চন্দ্র খাসকেল

....সেদিন কি অমঙ্গলে মঙ্গলবার ছিল
কন কনে শীতে ঝড়ো হাওয়া বয়েছিল চারদিকে।
সমুদ্রের ঢেউ কি খেলা করেছিলো
নাকি সে শান্ত মনে উদারছিল।
সূর্য কি উঠেছিল সেদিন দিগন্তে নাকি
ডুবে গিয়েছিল  তাঁকে এক নজর দেখার পরে।

লজ্জার ভূষণে আড়ালে আড়ালে পথ চলে মায়াবতী শ্যামাঙ্গীনি
ফাঁকি দিতে চায় এ ঘন কুয়াশায় পরে যায় তবুও মোর চক্ষু স্থলে।
তার খোঁটে বাঁধা শাড়ীর আঁচল তাকে পিছন ফিরে তাকাতে বাধ্য করে
হয়তো সে আন মনে আমার মনের কথা বুঝতে পারে ছলে বলে কলে কৌশলে।

মায়াবতী শ্যামাঙ্গীনি সে কুয়াশার মাঝে পথ চলে
কন কনে শীতে চাঁদর মুড়ি দিয়ে পদ চিহ্ন ফেলে
কেহ যেন তারে দেখতে না পরে
কুড়বে সে বকুল ফুল বাঁধিবে মালা শোভিত তার খোঁপাতে।
এরুপে দেখলে তারে চোখ ফিরে নারে পলকে পলকে ভাবি যেন তারে।

মায়াবতী শ্যামাঙ্গীনি কে দেখে কৌতূহল জাগে মনে
তাঁহার অঙ্গে ঝড়ানো চাঁদর খানা হইতাম যদি আমি
এই ঘন শীতে  কুয়াশার মাঝে হইতাম তার একমাত্র আপনি।
ইহা এক রুদ্ধতার বৈঠক শেষ অব্যক্ত মনের ব্যক্ত অভিলাষ।

তার মাথার ঘন কালো লম্বা চুল সে খোঁপায় বাঁধে ফুল
নীল শাড়ীতে মায়াবতী পায়ে আলতার ছোঁয়া
শ্যামাঙ্গীনি রুপ যেন তার দিয়ে যায় এ মনে দোলা।

পরেছি তাহার মায়ার বাঁধিব তারে অন্তরে
শ্যামাঙ্গীনি মায়াবতী তুমি ছলনাময়ী হইও নারে।।