অনুভূতির লৌহ দন্ড
..............লেখকঃ শ্রী সজীব চন্দ্র খাসকেল

:- অনুভূতির লৌহ দন্ড দাড়িয়ে যায় কখনো হাস্যরসে
কখনো বা পরিকল্পনার ছলে নামে বেনামে।
যদি কেহ কিছু বলে, বলিতে হয় ও না তাহাকে তাও,
মুখের অঙ্গ বঙ্গীমা দেখে তারা সবটা বুঝে ফেলে।
দাঙ্গা হাঙ্গামামা লাগাবে বলে,
পারদর্শি তারা  সমাজের চোখে নাম তার মানবতার গোষ্ঠী।

প্রচার হয় সমাজে ছলে বলে কলে কৌশলে
হুজুগে জনতা গিলে খাবে বলে
প্রতিটা পদ চিহ্নে তারা তীল গাছে তাল ধরিয়ে
অনুভূতির লৌহ দন্ড দাড় করিয়ে ফেলেে।

বিশৃঙ্খলার সূচনা লগ্ন দাঁড়িয়ে গেলে
স্বার্থপর মধু খেকো আমজনতা,
ধংসের লীলায় মেতে উঠে,
সত্য মিথ্যার ধার ধারে না তারা কারো প্রান গেলে।

বিচারের কাঠ ঘোরায় দাঁড়ায় তারা অনূভুতির দন্ড নিয়ে।

তবুও কাঠের চশমা পরিধান করে থাকে একটা অসুস্থ সমাজ
নাম তার মানবতার গোষ্ঠী,বিশ বাষ্প যার অন্তরে বহমান,
ধংস স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে তারা খিল খিলিয়ে হাসে,
কাউকে তারা করেনা আদো সম্মান।

আবার মাঝে মাঝে এই সুশীল সমাজের
অনুভূতির লৌহ দন্ড আপনা আপনি  দাড়িয়ে যায়
জায়গা বেজায়গায়,
যেমন ধরুন তেতুঁল গাছের দিকে তাকালে, নয়তো রস ভোজের রসগোল্লা দেখিবার ছলে ,
পরিনতি ভয়াবহ তবু দায় সারা বক্তৃতা দেয়।

তারা ইতিহাসের গল্প শুনায় জন মনে
ফিরে যেতে চায় অতীতে
বাস্তবতাকে অস্বীকার করে নিজ স্বার্থ চরিতার্থ
করিবার জন্য  গান গায় তারা মনে মনে।

এরা পরিচিত হয় এক দল নিঃষ্পাপ,হৃদয়বান ব্যক্তিত্ব,
চোখের আড়ালে যারা হিংস্র পানী, সমাজের চোখে মানবতার বন্ধু।
হীন মনা কাপুরুষের দল বলি তাদের ,যাদের অনূভুতির লৌহ দন্ড দাড়িয়ে যায় ক্ষনে ক্ষনে।