(একটি বড় লেখা পোষ্ট দিলাম, কেউ বিরক্ত বোধ করলে এড়িয়ে যেতেই পারেন কোন সমস্যা নয়; এটা জানা বিষয় সবকিছু সবার জন্য নয়।)
ছোট লিখি বলে অধিকারের দাবীতেই অনেকে বলে,
ধ্যাৎতেরি ছাই!
কীযে করো না!
আর একটু বড় লিখতে পারো না?
পড়তে গেলেই শেষ,
শুরুর আগেই শেষ হলে
কেমন লাগে বুঝো কিছু?
অনেক কিছুই বুঝি না সত্যি, মাথায় বুঝ আসে না ঠিক!
খুব ছোটবেলা ক্রমশ বুঝতে শিখবার বয়সেও দেখেছি-
তালগোল,
তথাকথিত,
কাকতালীয়, এই প্রচলিত শব্দগুলো,
'বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে,'
'পুকুরেতে জল নাই পদ্ম কেন ভাসে'
'যার সাথে দেখা নাই সে কেন হাসে!'
এসব প্রতিনিয়ত গোল পাকাতেই থাকে চিন্তা চেতনায়।
এখন জীবনের বাদামী অপরাহ্ন ফিকে হতে হতে দেখি
দুয়ারে কড়া নাড়ে কমলাবেলা,
সিঁদুর লাল অলিগলি, আঁকবাঁক -
কোথাও ছায়া নেই কারো।
তবু স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে
কোমলতায় মাখামাখি কিছু মুখ,
না ভোলার মত কিছু মুহুর্ত্ব।
অনেকেই বলে এসব নাকি প্রেম! ভালোবাসা, ইত্যাদি।
ওসব আমলে নেই না, রাতে ঘুম না হলে অম্বলে জ্বালায়
তবুও ঘুমাতে পারি না,
গভীর রাতে বুকের মধ্যে কড়া নাড়ে,
কোন এক কোমল হাত।
খিলখিল হাসি পাঁজরের উঠোনে,
আলতারাঙা পায়ের আওয়াজ আঙ্গিনায়,
চুড়ির রিণিঝিণি জানালায়।
সব কী অম্বল না কিছু সম্বল জীবন চলার পথে সঞ্চিত!
ভাবতে ভাবতে মুয়াজ্জিনের আযান, মন্দিরের উলুধ্বনি
গীর্জার ঘন্টা শোনা যায়,
লাল কলম থমকে থাকে,
শহীদুল্লা কায়সারের রচনাবলীর পাণ্ডুলিপিতে।
ভীষণ এক অবসাদ কুরে কুরে খায়-
সকাল, দুপুর, বিকাল,
সারদিন, মাস, বছর, যুগ কাল-কালান্তর।এভাবেই কেটে যায় যাচ্ছে যাবেও হয়ত জন্ম-জন্মান্তর!
টেবিলে ওষুধপত্র কলমদানি বইপত্র বালুর স্তরে ঢাকা,
ঝাড়া-মোছা হয় না সময় মত,
না স্নান, খাওয়া-দাওয়া
কিছুই হয় না সঠিক সময়ে।
চা ঠান্ডা হয়ে যায়,
বাসি হয়ে যায় ভাত-তরকারী
গরম পানি বাষ্পায়িত হয়ে যায় সব।
বিছানা-বালিশ আগোছালো, ধুলো বালিতে একাকার।
কেউ মনে করিয়ে দেয় না, ডেকেও বলে না কোন কিছু,
খালি হাতে গরম কড়াই নামাতে গিয়ে
মনের ভুলে গরম চা'য়ে লম্বা চুমুক দিয়ে
কত ভুগেছি সময়-অসময়ে কতবার!
দুঃসময়ে সময়ও চিনে না যেন,
মানুষতো দূরে থাক,
কেউ কেউ দুএকজন ব্যতিক্রমী।
তাদের সাথে বান বন্যায় বয়ে যায় কলারভেলা জীবন!
কেন্দ্রের ছাদ শিল্পকলার চিলেকোঠা গণপাঠাগার যাদুঘর,
টিএসসি, হাকিম চত্তর
রাজুভাস্কর, চারুকলা
বকুলতলা, দোয়েলচত্বর-
কপোত-কপোতীর পদচারনায়
মুখরিত উদ্যান, বাংলা একাডেমী
ছাত্রী হোষ্টেলের নিয়ন্ত্রিত প্রবেশপথ।
মুখ থুবড়ে পড়ে আছে করোনাতে জীবন্মৃত সন্ধিক্ষণে।
লিখব ভেবেই হাতে উঠে এলে কলম, কিবোর্ডে আঙ্গুল
শব্দেরা মরণ মিছিলে সামিল,
অনূঢ়া যেন শরীর ঢাকে
শরমে লাল শব্দ যুবতী।
যেন অভিমানী চৌষট্টি কলা,
সরবী করবী সাগর আনাজ
কিছু না কিছু থাকেই ভিটায়।
তবুও পাঁজরের সিন্ধুকে মন্বন্তর বুকে শব্দশূণ্য হাহাকার।
সিঁদুর রাঙা সিঁথি যেন পথ চলা কবিতার সরু আঁকবাঁক
বিরান উঠোনে খা খা রোদ,
শস্যহীন পতিত জমিন,
ভালোবাসাহীন দুঃসময়!
একদা ফেলে যওয়া পালক,
চৈতী বাতাসে স্মৃতি ওড়াউড়ি
পিপাসা কাঁতর বিরহী চাতক।
দুঃখবতী মেঘ দুধজলে ভিজায় চন্দ্রবিন্দু চোখের কার্ণিশ।
অপেক্ষার শেষ নেই প্রহরে প্রহরে বাড়ে অনিঃশেষ প্রতীক্ষা,
বুকের মধ্যে বসন্ত বৈভব,
ধ্রুপদ রাগে মানভাঙার প্রয়াস,
প্রকৃতিরূপে অষ্টাদশী আকর্ষণ।
শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে আসে
অসম্ভব এক স্পর্শানুভূতি
মোহিত মননে জাগে শিহরণ।
দুচার কথা যা এসে ভীড় করে ফিরাই না কখন কাউকে
সেইতো চর্চা; শব্দসম্ভারে অলঙ্কৃত কাব্য সুধা প্রতিরূপ ।
প্রতিনিয়ত এই ছোট্ট প্রয়াস,
আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন সারথী মন
গুটিগুটি পায়ে পথচলা।
মায়ের আঁচলে ঘুমায় শিশু,
পরিতৃপ্ত নিরাপদ বক্ষবেষ্টনী,
গর্ভযন্ত্রণা নিরাময় প্রতিশেধক।
ছোট্ট ছোট্ট কথাগুলি একেকটা স্বপ্নের বাস্তব প্রতিবিম্ব।
----------------------- -----------------
১৬ই অক্টোবর ২০২০, ৩১শে আশ্বিন ১৪২৭, ২৭শে ১৪৪২, শুক্রবার, বিকালঃ০৫ঃ২০ মিনিট, (+৬)
Unauthorized use or reproduction for any reaasin is prohibited.