(ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রেখে এই নিবেদন)
সেদিন ছিল একুশে ফেব্রুয়ারী,
বলছি উনিশ’শ ৫২ সালের এক দিনের কথা।
বুলি কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদী ইতিহাস রক্ত দিয়ে লেখা হয়েছিল-
এমনই এক স্মরণীয় দিনের কথা।
আমাদের মা-বাবারা তখন যৌবনের গান গাইতেন, স্বপ্ন দেখতেন,
তারা সবাই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন মাতৃভাষার অবমাননার বিরুদ্ধে।
সৈরশাসনের রক্তচোখ তোয়াক্কা করেননি, ভয় পাননি গোলাগুলি
বুকের মধ্যে নিদারুন ঝড় উঠলে তখন আর কিছুতেই ভয় থাকে না।
উদ্ধত হাতে মশাল,
শ্লোগানে গলা ফাটানো চীৎকার
বন্ধ দুযার খুলে রাজপথে নেমে এসেছিলেন যুবা-বুড়া।
বারুদ ফুটেছিল ফুলের বাগানে,
ভাষার জোয়ার এসেছিল শুকনো ঠোঁটে।
উষ্ণরক্তে ভিজেছিল সবুজ বাংলার বুক,
আমাদের মা-বোনেরা, বাপ-ভাইয়েরা-
কেউ থমকে বসে ছিলেন না।
আমাদের কথা ভেবেই,
আমাদের পূর্বসুরীরা তাদের সবকিছু দিয়ে-
বাংলা ভাষার জন্য বর্ণমালার জন্য
নির্ভয়ে বুক পেতে দিয়েছিলেন গরম শীসার সামনে,
হৃদপিণ্ড এফোঁড়-ওফোঁড় করেছিলেন বুলেটে।
তবু থেমে যাননি,
থমকে যাননি,
ভয় পাননি।
ভয়কে জয় করেছিলেন সাহস আর সত্য দিয়ে।
একঝাঁক তারা হয়ে তাঁরা সবাই উড়ে গেছেন
নীল আকাশের ওপারে,
রেখে গেছেন রক্তেলেখা অক্ষরগুলো,
বাংলা নামের মধুর একটি ভাষা।
অ...........
আ............
ই............
এ..........
ও........
স্বরবর্ণের সুর আর অকৃত্রিম মমতা মাখানো মাতৃছায়ায় মায়ার প্রলেপ।
ক............
চ...........
ট...........
ত............
প.......
ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণময় বর্ণালী স্মৃতিমাখা নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে অমলিন বিশ্বাস।
-------------------- ০ ---------------
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২৫ মাঘ ১৪২৮, মঙ্গলবার, সকাল:০০:৩২, কাব্যকুঞ্জ, নারায়নগঞ্জ,
(স্বত্ত সংরক্ষিত)।