ঈশারা সে করেছিলো চুপি চুপি
বলেছিলো কথাও কিছু
ঠিক তার মতো করে, চোখ টিপে
হাত নেড়ে, লম্বা বেণী দুলিয়ে।
কাছে এসে মুচকী হেসে
বলে গেছে ভালোবাসে
ভালো কি সে বেসেছিলো কোনকালে,
কোনদিন কোনক্ষণে বুঝে বা না বুঝে!
নীলচাঁদ ব্যথার বাটি উপুড় করে
বুঝিবা ঢেলে দিয়েছিল জ্যোৎস্না!
স্নান শেষে এলোকেশে
ঝরেছিল ফোটা ফোটা
জলের কণা, নাকি ফণা
থেকে বিষের বিন্দুকণা।
সে সব বুঝিনি, কিছু তো খুঁজিনি
শুধু তাকে চেয়েছি কখনো কি পেয়েছি
বুঝিনি তা, বুঝিনি কিছুই
কাছে আসা দূরে যাওয়া এতো তড়িঘড়ি।
ভুলিনি সে ঈশারা তারাদের মিটিমিটি
বলে গেছে কোন কথা কোন অবসরে।
আপনার গৃহকোনে বসে ক্ষণে ক্ষণে
কোন স্মৃতি কখন চোখে ভেসে আসে
তার কথা কার কথা কতো ব্যথা
মনের দূয়ারে কড়া নাড়ে বারে বারে!
সেতো চলে গেছে শুধু রেখে গেছে
গায়ের মহুয়াগন্ধ তপ্ত শ্বাস-প্রশ্বাস
আলতো স্পর্শ মিহি হাসির প্রভা
ঝরে পড়া চুল ভাঙ্গা চুড়ি লাল টিপ।
টেবিলে ধুলোপড়া ফুলদানি, গোলাপ গন্ধরাজ
দিনরাত বুকের অতলে আগুন পোড়ায় আজ।
------------------ ০ ----------------
২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৫ আশ্বিন ১৪২৯, ২৩ সফর ১৪৪৩, মঙ্গলবার, সকাল: ০২:১১, কাব্যকুঞ্জ, (স্বত্ত্ব সংরক্ষিত)