বরষার নদী,
পাড়ে বসে পা ডোবানো
যায়।
যুবতী নদী,
শেষ সূরযে সোনালী চিবুক।

দূরে বনে ডাইনী রাত্রীর
সেনারা তইয়ার ,
মাঠ ঘাট পথ
ঢেকে ফেলতে কালো
আলকাতরায় ।

লম্বা ঠ্যাঙ বক গুলো
বাচ্ছা কাচ্চা টেনে
ঘরমুখো ।
পাড়ের তেন্তুল গাছে
হাজারো পাখী ,
ভয়ে চুপ !
গংগোর গংগোর
করে ব্যাং ভগবানের
নাম জপছে ; এই বুঝি
এলো সরপিল মরণ !

কুমারী মেয়ের মতো
কল কল করতে করতে
নদী একটু শান্ত !

এখুনি ঈদের চান্দা উঠবে ...
বড়দির মতো নদীর কপালে
চুমো খেয়ে , বলবে -
সে অপেক্ষায়...
যা , তাড়াতাড়ি কর।
তোর রাজা !

নদী বলবে দিদি আমি
ময়লা যে ?
আমায় নেবে ?
গিয়েই দেখনা ! বলে
চান্দা লুকোবে মেঘে।
নদী ছুটবে... পাগলী।

আমি কাদা পায়ে
উঠে আসবো ঘরে ।
খিচুড়ী ডিম ভাজা
খেয়ে শুয়ে পড়বো।

নদী দাওয়ায় বসে
চান্দার সঙ্গে কথা
বলবে...।
দিদি ঘুম আসেনারে,
ইচ্ছে তো করে ।।
কিন্তু এই পাগল
আধমরা টাকে
কার হেফাজতে
রেখে যাই ?