উপেক্ষা
---
প্রচণ্ড প্রচণ্ড রকম ভাবে উপেক্ষা করি আমি,
যাবতীয় দুঃখগুলো আমার,
ব্যথাকাতর মুহূর্তগুলো আমি
সহাস্যে উপেক্ষা করি
আমি উপেক্ষা করি যাবতীয় ঘৃণা,
যাবতীয় কটাক্ষের মালা আমি সগর্বে
ধারণ করি কণ্ঠে আমার।
আমি কাঁটার আঘাত সয়ে পুষ্পবিলাস করি,
নীল বেদনা হয়ে নীল আকাশে
ডানা মেলে দিই নরম কোমল মেঘের মত
যাবতীয় স্তুতি আমি উপেক্ষা করি,
যাবতীয় অবহেলা আমি হাস্যমুখে উপেক্ষা করি
আমি আমাকেও উপেক্ষা করি,
ছুটে চলি তুফানের মতো,
কি করে থামাই নিজেকে বলো?
আমি করি না অসহায় আত্মসমর্পন জরার কাছে,
যাবতীয় অনুভূতি একপাশে সরিয়ে রেখে
আমি করি মুগ্ধ, বিস্মিত সময় যাপন
আমাতে হার মেনেছে আমার আমি,
যতক্ষণ আছে প্রাণবায়ু - আমি চলি তটিনীর মতো
যদি পার ভেঙে যায়,অচল হয়ে যায় হৃদয় মন
আমি থেমে যাবো অবশেষে।
আমি প্রজাপতির মত পাখা মেলি
আমি হাত বাড়িয়ে দেই,
যদিও প্রচণ্ড অক্ষমতা আমাতে এখন
নিয়ত বসবাস করে,
তবু আমি চলি উল্কার মতো
উপক্ষিত সকল "না "দূরে গিয়ে অক্ষম হাসি হাসে,
আমাতে বসবাস করে চির নতুন এক পথিক
যে শুধু হেঁটে যায় জীবনের পথে।
সাধ্য কি দেহ তুই বিনাশ করবি আমাকে?
কেউ না জানে,কেউ না দেখে
অন্তিম সময়ে ক্ষয়ের কি করুণ গীত বেজে চলে
সকরুণ সুরে
আমি প্রচণ্ড রকম ভাবে উপেক্ষা করি
আমার সমুদয় যন্ত্রণা,
আমার স্বপ্ন বাগানে আমি কেবলই হেঁটে চলি
সাথে নিয়ে আমার যাবতীয় অপ্রকাশিত বেদনার ভার।
১০/১/২৫