স্বীকারোক্তি
-----
কি অবলীলায় তুমি তরী বেয়ে গেছো তীরে
যখন আমি বিশাল সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গে
ভেসে যাচ্ছিলাম!ডুবে যাচ্ছিলাম উত্তাল ঊর্মিমালায়।
তুমি আমার পাশে ছিলেনা তো!
কখনই ছিলেনা শুধু অবয়বটুকু ছাড়া।
পাশে থাকা কাকে বলে জানো কি?
জানো না তুমি।
শুধু পাশে থেকে সময় যাপন কখনই পাশে থাকা নয়,
একসাথে যদি না হয় জোছনাবিলাস,
না হয় যদি কাকভেজা বৃষ্টিতে স্নান
অথবা না হয় যদি হাতটা বাড়ানো পরস্পরের জন্য।
জীবনের হিসেব জটিল,মনের হিসেবটা আরও বেশি।
তাইতো সে তুলে দেয় পাল অজান্তে অচেনায়
খুঁজে ফেরে নির্ভরতার বন্দর।
দূর দীপালোকে জ্বলে আলো
আমায় হাতছানি দেয়,ডাকে ইশারায় উড়ন্ত পাখিদের ঝাঁক।
একটি ঘাসফুল আমাকে সময় দেয়,
আমাকে সময় দেয় নিশ্চুপ প্রহর,রাতজাগা জোনাকী
জোছনা আমার সঙ্গী হয় কখনও।
কৃষ্ণপক্ষের কাতর চাঁদও আমার সঙ্গী হয়।
কালো কালো অক্ষর আমার একাকী প্রহর কেমন মুখর করে দেয়
তা যদি তুমি জানতে।
আমার কবিতার খাতা কেমন করে পূর্ণ হয়, তা যদি তুমি জানতে।
আমি হতে চেয়েছিলাম দৃষ্টি তোমার,
তুমি দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলে।
কেন বুঝ সব ইচ্ছাকৃত অবহেলা আমার?
সবই তোমার দান,তোমার সযত্নে রচিত ভুবন।
একাকীত্ব তোমাকেও গ্রাস করে আজকাল
আমি টের পাই খুব।
সময় গেছে ঢের,কি করে আবার মুখোমুখি হই?
কি করে আবার হাত ধরে হাঁটি বলো?
সময় কেড়ে নেয় সব সজীবতা,সব মুখরতা,
ভালোলাগার কেন্দ্রবিন্দুতে আজকাল তুমি আর নেই।
কি করে ফেরাই নিজেকে বলো?
উৎসে আর ফেরে কি নদী?
তবু বিশ্বাস রেখো আছি তো কাছাকাছি
দেখতে যদি পারো দিব্যদৃষ্টি দিয়ে,
রামধনুর মত তোমার আকাশে
একটি নিষ্প্রভ তারা হয়ে।
২৮/২/১৯