শেষ সূর্যাস্ত
দূর সূর্যাস্তে যখন লেগেছিল রক্তিম আভা,
গোধূলির ধূলি সব হাওয়া উড়িয়ে নিয়ে যায়
আর আমাদের কথাগুলো মিশে যায়
ঝরাপাতার শব্দের সাথে,
তুমি ফিসফিস করে বল- যাই তবে।
পাতার বাঁশি পড়ে থাক,
না হয় একাই বাজাও তুমি দিনমান,
একাই দেখ আকাশে মেঘের লুকোচুরি,
শ্রাবণ দিনে কদম হাতে একাই শোন বৃষ্টির গান-
আলো যত ফিকে হয়ে আসে,
রাগ-রাগিনী বেসুরো বাজে,
বৃষ্টির ফোঁটায় হাসে না জুঁইফুল,
বিদ্যুৎ চমকে গাঢ় অন্ধকার ছেদ করে
ঝলসায় পৃথিবী।
এখানে থাকে না কাব্য,থাকে না ফুলেল সুবাস,
সবকথা আচমকাই শেষ হয়,
বুকের পাঁজরে কে যেন হাতুড়ি পেটায়,
অদৃশ্য অশ্রু দু'চোখের জমিনে।
শেষ সূর্যাস্ত সাক্ষী থাকে অন্তিম যাত্রার,
অবাক দু'চোখে কেবলই দেখার আকুতি,
কখনও হয় না তৃপ্ত হৃদয়,
অনেক অপূর্ণতা নিয়ে ফেরার পালা শুরু।
সকল দৃশ্যের শেষে থাকে যবনিকা,
যারা ছিল চিরদিন আড়ালে,
সেই অদৃশ্য পায়রাগুলো ডাক দেয়,
পাখা মেলে দেয়- নিয়ে চলে অদৃশ্য ওপারের ঠিকানায়।
২১/৩/২০