প্রতিশ্রুতি থাকে না যখন
-----
কথা ছিল দুই ধারা পাশাপাশি বইবে
একই নদীর দুইটি ধারার মত,
কথা তাই ছিল; না কি?
কথা ছিল আজীবন হবে সুখ-দুখ বিনিময়
কথাদের হবে দেয়া নেয়া।
আকাশ চেয়ে থাকে পৃথিবীর দিকেই দৃষ্টি
আজীবন নিবদ্ধ তার,
প্রগাঢ় মমতায় জোছনা হাসে মিটিমটি
যখন জলে পড়ে চাঁদের ছায়া।
কি গভীর প্রেমে মৃদু মন্দ বাতাস খেলে
শিমুল পলাশ পত্রে,যখন উতল ফাগুন
সাজে ফুলেদের রক্তিম সাজে।
নদী,জান কি? পরম বিশ্বাসে ছুটে চলে
কত শত পথ পাড়ি দেয়-
তারপর মিশে যায় সাগরে,লীন করে নিজেকে।
কথাগুলো এমনই হতে হয়,কথাগুলো এমনই ছিল;
কখনও কথায় ছিলনা হুল,ছিলনা শূল
ছিলনা কলঙ্কের চিহ্ন কোনও।
তারপরও কথায় কলঙ্ক আসে,
বিশ্বাসে ধরে চিড়,প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হয়,
কথার ডালি ছিন্নভিন্ন, টুকরো টুকরো
কলঙ্কের লালিত বাসনায়।
কথা ছিল আজীবন পাশাপাশি থাকার,
যেমন পাখি উড়ে বেড়ায় সুনীল আকাশে;
তেমনি আমাদের কথাগুলো ছড়াবে সুগন্ধি
নির্মল,নির্মোহ কিন্তু গভীর ভালবাসায়।
কথা আর কথা থাকেনা,
পাশবিক তাণ্ডবে কথার মালা টুকরো টুকরো হয়,
দুটি ধারা সরে যায় নিজস্ব ধারা নিয়ে
ভিন্ন কোনও পথে।
কেউ কেউ স্মৃতি নিয়েই বেঁচে থাকে,
যাপিত দিনের স্মৃতি নিয়ে;
ওখানে বাস করেনা বাস্তব।
চোখের জলে থাকে বন্দী স্মৃতিরা,
কেউ কেউ অনায়াসে ভুলে যায়;
তাদের থাকেনা আবেগ জড়ানো স্মৃতিময় মুহূর্ত
আর তারাই ভীষণ ভাল থাকে।
কেউ কেউ থাকে যারা ভুলেনা,
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের তীব্র দাহন নিয়ে
তারা জীবন্মৃত হয়ে বেঁচে থাকে
যতদিন থাকে আয়ুষ্কাল।
---২৯/০৩/২০১৯