পাখিদের কথা
--
পাখিদের কোনও নিজস্ব ঠিকানা থাকে না,
তবে পাখিদের অনেক দুঃখ থাকে,
ডানায় নিয়ে অনেক দুঃখ
পাখিরা উড়ে যায় আকাশে,
দেশ হতে দেশান্তরে।

পাখিদের নিজস্ব বাড়ি নেই,
আজ এখানে,কাল ওখানে
যেখানে মন চায় পাখিরা সেখানেই ঘর বাঁধে,
পাখিদের ঘরগুলো বড় বিচিত্র,
খড়কুটো দিয়ে ওরা ভালবাসার ঘর বাঁধে।

পাখিদের থাকে না সুরম্য অট্টালিকা তবু
পাখিদের ঘরে কোন দুঃখ থাকে না,
যদিও পাখিদের অনেক দুঃখ অথচ
তাদের ঘরে থাকে নির্ভেজাল মায়াময় বন্ধন,
যতটুকু মন চায় ততটুকু ভালবাসে,
সময় শেষে পাখিরা আবার উড়ে যায় দূর আকাশে
নতুন কোনও ঠিকানার খুঁজে।

পাখিদের কি কোনও স্বপ্ন থাকে?
পাখিদের কি স্বপ্ন ভাঙার কষ্ট থাকে?
কে জানে!! আমি পাখিদের ভাষা বুঝি না
কেবল ঘুলঘুলিতে চড়ুই এর বাসা দেখি,
বারান্দার পাশে আমের ডালে দেখি
কাকের বাসা বাঁধার আয়োজন,
কি বলি ছাই! কাক তো কেবল কাক
পাখি বলে কে ওকে!

আমি পুরনো বাঁশঝাড়ের পাশে দেখেছিলাম
দোয়েল আর বাবুই পাখির বাসা
একঝাঁক বককে দেখেছি বাঁশঝাড়ে
কেমন সন্যাসীর মত বসে আছে
নাম না জানা অনেক পাখি দল বেঁধে উড়ে যায়,
আবার আসে, আবার যায়।

পাখিদের দুঃখগুলো আসা যাওয়ার পালায়
ক্রমশ ক্ষীণ হতে থাকে
অনিশ্চয়তা বড় কঠিন বিষয়,
জীবনযুদ্ধের পালায় কেবল জেতার শপথ থাকে,
দুঃখবিলাস সেখানে অচল
পাখিরা তাদের দুঃখগুলো বিলিয়ে যায়,
যারা থাকে একাকী,যারা নিভৃতে বুনে যায়
কথার কাব্য,
পাখিরা তাদের উপহার দিয়ে যায়
একরাশ দুঃখ আর কথার মালা।

তারপর পাখিরা আবার উড়ে যায়
হারিয়ে যায় দিকচক্রবালে,
সময়ের আগে পাখিদের সহজে দেখা মেলে না।
--১০/০১/২০২০