অপূর্ব তুমি
---

অপূর্ব তোমার আকাশ
অপূর্ব তোমার বৃষ্টি
ছায়া ছায়া মেঘ শীতল
অপেক্ষায় বুনোঘাস আর
শান্ত বিটপীর নিঃশ্বাস।

নির্দ্বিধায় তোমার জলে
পানকৌড়ির ডুবসাঁতার,
চকোর তৃষ্ণা মেটায়
যেমন জোৎস্নার আলোয়,
বারিবিন্দু শিহরে অদ্ভুত আনন্দে।

তোমার হঠাৎ খেয়ালে
কিংবা ক্রমবিন্যাসে
একের পর এক পটপরিবর্তন,
শুস্কধারায় প্লাবনের জোয়ার
পাড় ভেঙে পড়ে।

তিরতির কম্পনে সোহাগী নদী
ভরার মৌসুমে কাঁপে,
অপূর্ব খেয়ালে চিত্রকর এক
এঁকে চলে বিচিত্র চিত্রাবলী
পৃষ্ঠাঙ্কনে মুগ্ধ নেত্রযুগল যত।

সমতটে স্বস্তির আশ্বাস,
কখনও দোলাচল শঙ্কার,
সময় শেষে ফের ঘরে ফেরা,
কিছু মানুষ স্থির হয় ইতিহাসে,
গৌরবে কিংবা ঘৃণায়।

বাদবাকি মানুষেরা মিছিলের যাত্রী,
রক্তাক্ত পায়ে ক্ষতচিহ্ন
তবু অনুচ্চারিত, অলিখিত সে অধ্যায়,
তোমার অপূর্ব গৌরবগাঁথা
আকাশে বাতাসে দ্যোতিত তবু।

অপূর্ব তোমার অস্তাচলে
আবিরেরা খেলা করে
মুগ্ধ পথিক দৃষ্টি হারায়
কলকল ধ্বনিতে প্রকটিত জনপদ
প্রতীক্ষায় অপূর্ব আরেক গুপ্তকথার।
২৯/০৫/২৪