অন্তিম যাত্রা
--
আমাকে আমার মত যেতে দিও
বর্ণিল জীবনের উপাখ্যান শেষে
আমার শেষ যাত্রায়।
আমাতে ছিটিও না ফুল,
অনুভূতিশূন্য আমি ফুল দিয়ে কী করব বল!
আমাতে আরোপ কর'না মিছে দেবত্ব,
যেভাবে মুখর ছিলে ছিদ্রান্বেষণে
সেভাবেই থেক, নয়তো নিরব।
আমি যেমন ছিলাম সারাটা জীবন
সেভাবেই তুলে দিও মরণখাটে,
আমার মৃত্যুশয্যা যেন ক্যামেরা বন্দী না হয়,
ফ্ল্যাশলাইট! কোন প্রয়োজন আমার নেই।
জীবন যেভাবে গেছে সাদামাটা,একাকী বিষন্নতায়
তেমনি হোক বিষন্নতায় ছাওয়া আমার শেষ যাত্রা।
বকুল,শেফালি কেয়াদের শীতল ছায়ে
কিংবা ঘাসফুলের নরম মায়ায়
আমি বিচ্ছিন্ন হব জাগতিক কর্মযজ্ঞ থেকে।
কোনদিন হয়নি দেখা অন্তর চক্ষু দিয়ে
কী ছিল লেখা আমার মর্মমূলে,
আমার কবিতায়-
কী ছিল আমার অব্যক্ত যত লিপিতে।
ভুলে যেও,ভুলে যেও, তারপর তুমি নিবেদিত
জীবনযাপনের নিত্য প্রয়োজনে।
আমি মাটি হব,আমি যোগাব নির্যাস
শষ্যদানা আর পুষ্পবিলাসে
আমি উন্মোচিত হব আলোর যাত্রায়,
আমি নতুনরূপে আবার দেখব পৃথিবী,
দেখে যাব প্রিয়মুখ।
ওখানে আর নাইবা থাকি আমি,
আমার অন্তিম যাত্রায় শুধু খানিকটা পথ
এগিয়ে দিও আমাকে তুমি।
উর্বর মাটি ছিটিয়ে দিও,
রুয়ে দিও বৃক্ষলতা,
প্রাণপণে আমি মৃত্তিকার ঋণ শোধ করে যাব।
২০/৮/১৯