নির্ঘুম রাত্রির গল্প
----
আজ ছিলো রাত্রি অতন্দ্রার দখলে,
মাঝে মাঝে এমন হয়
আমি সমস্ত চরাচরে খুঁজি ঘুম,
ঘুমের বড়িতে খুঁজি ঘুম
ঘুম ঘুমে থাকে ঘুমেদের বাড়ি।
ঘুমহীন আমি ক্লান্ত হয়ে প্রতীক্ষায় থাকি
কখন  আসবে ঘুম
কথাহীন রাত্রি আমার কাছে আসে
সাথে থাকে গাঢ় অন্ধকার,
আমি আকাশে খু্ঁজি ঘুম;
আকাশে অনেক জাগ্রত তারা-
তারা গোনা যায় কি?
গুনতে থাকি, আবার সব এলোমেলো
শুরু করি আবার প্রথম থেকে,
নাহ্ এ বড় ঝঞ্জাট!
তারচেয়ে দেখি ঘুমহীন জোনাকীর আলো
তারা অপরূপা মায়াবী রাত্রিতে।
আমার কষ্ট বেশি ভালো লাগে,
ঘুমহীন কষ্ট নয়,
নিজেকে খুঁজে পেতে চেয়ে যে কষ্ট আনি
সেই কষ্ট,
অধরা স্পর্শহীন অন্তর্গত কষ্ট,
যখন ঘুমহীন থাকি তখন
কষ্টেরা আসে,
ওরা দল বেধে আসে
আর থাকে কাছাকাছি কিংবা
কিছুটা দূরে, কিছুটা তার  নাগালেই।
কষ্টদের জন্য কষ্ট লাগে,
ওরাও তো আশ্রয় খুঁজে!
আয় বাপু চলে আয় আমার কাছে
ঢের খালিস্থান পড়ে আছে
অনায়াসে নিতে পারিস আমাতে দখল
তারপর আমি কবিতার খাতা খুলি,
একটার পর একটা কষ্ট আমি সাজাই অক্ষরে,
আমার একত্রিত কষ্টেরা মিলেই তো হয় রচিত
আমার কবিতা, পূর্ণ হয় কবিতার খাতা।
অতঃপর আমি কবিতাগুলো সযতনে রাখি
মলাটবন্দী কবিতা, শুধু আমার জন্যই
কষ্ট আমার, কবিতাও কেবল আমার,
আমি আবার আকাশ দেখি ওখানে তখন সূর্য হাসে,
ঝলমলে রোদ নিয়ে একটি সকাল,
একটি নতুন দিনের শুরু
সংগোপনে কষ্টেরই সাথে,
তারপর হারাই জনতার মিছিলে।
ওখানেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে অনেক কষ্ট,
অনেকের অনেক কষ্ট,
অবশেষে বুঝি, পৃথিবীটা আসলেই কষ্টদের দখলে
বেহাত হয় না কষ্টেরা,
সব হাতে কষ্ট,সব মুখে কষ্ট, সব চোখে কষ্ট,
পাওয়ারও কষ্ট থাকে, যেমন না পাওয়ার
পৃথিবীটাই দখল নিয়েছে কষ্টেরা,
পৃথিবীর প্রতিটি মুখেই বুঝি কষ্টেরা
নির্দয় হাসি খেলে,
নিষ্কলুষ প্রার্থনা থাকুক প্রতিটি কষ্টের জন্য
কষ্টেরাই অবশেষে অবসানে দেয়
একটি সুখের মুহূর্ত।
৩/২/১৯