যদি শুনি প্রতিধ্বনি
---
আমি যুগ যুগ ধরে প্রতীক্ষায় ছিলাম
তুমি এলে সহস্র আলোকবর্ষ পরে
তুমি যেন বিষন্ন সকালে শীতের সোনারোদ,
অলস দুপুরে উদাস শীতল হাওয়া,
সন্ধ্যার আলোআঁধারিতে এক
রহস্যময় আগন্তুক।

মূহুর্তরা হল বিহ্বল,মৃদু কম্পনে বিবশ পুষ্পদল,
অগণিত উৎসবে রচিত হয় অনন্য এক
কথার কাব্য
যা কিছু ছিল অন্তরালে,যা কিছু ছিল আবছায়ায়,
সবই তার প্রকাশিত তোমার আগমনে,
সরবে উচ্ছসিত নীরব মনোদ্যান।

উল্কাপিণ্ডের মত দ্রুত প্রস্থান,
অচঞ্চল সময়ে বাঁধি অঞ্চল প্রান্ত
তোমার সাথে ছুটে চলা নতুন দিগন্তে
ক্লান্ত তুমি,হঠাৎ যেমন কালো মেঘে ছেয়ে যায়
সোনালী আকাশ,
তোমার ছায়াপথে নতুন বিস্ময়,দৃষ্টিতে নতুন পৃথিবী।

আমাতে সঞ্চিত এখন পাষাণের অলংকার,
আমি দেখি উত্তরীয় তোমার দোলে বাসন্তী হাওয়ায়,
নতুনের পদধ্বনি ভাঙে নীরবতা
থেমে যায় সময়ের সংলাপ,
শান্ত হয় অস্থির সমুদ্র,
লোনাজল শুকায় তপ্ত হুতাশে।

আমি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি ফের,
কান পেতে থাকি কাছে কিংবা দূরে,
সহস্র আলোকবর্ষ দূরে যে সরে যায়,
যে হারায় আপনি কিংবা
নিয়তির ঘোর বিধানে,কখনও
যদি তার পদধ্বনি শুনি।
২৭/১/২০