বিষাদ
---
পাতা ঝরার দিনে দূর দুয়ারে
কেউ কি একাকী দিন গোনে
ধুসর সন্ধ্যায় কিংবা বিষন্ন বিকেলে!
সস্নেহ আঁচল বিছানো যে প্রান্তর
সেখানে আস্তর ধুলোবালির
মলিন পক্ষীকূল ডানা ঝাপটায়
দূরে কোথাও তার যেতে মন চায়।
এখানে নেই, ওখানে কিংবা কোনখানে
কোথাও নেই,, কী গভীর শূন্যতা
অন্তর্ধানে কার সৃষ্ট সুগভীর ক্ষত,
গহন রাতের অন্ধকারের মত
কী গভীর শূন্যতা নিরুদ্বেগে গ্রাস করে
করুণ রাগে বাজে অশ্রুত সুর।
আমি তোমায় দেখি, তোমার হাসি তোমার কণ্ঠ
সবই অন্তস্তলে সুদৃঢ় অবস্থানে
শুধু না দেখি, না ছুঁতে পাই তোমায়
কিছু অভিমান, কিছুটা দুঃখবোধে
আক্রান্ত হই কখনও নিজেই,
হয়তো সবারই এমন হয়,
বৃক্ষ বোঝে কি কত কষ্ট জমাট থাকে
পাতার ঝরার আগে?
সবই আগের মতই থাকে, যেন কিছুই বদলে না
পৃষ্ঠা পাল্টে যায় শুধু নীরবে
আবার আঁকিবুঁকি নতুন পত্রে,
যারা অপেক্ষায় একরাশ গভীর শূন্যতা দু’চোখে
পিছনে ধুসর পান্ডুলিপি
কেউ কারও জীবন পাতা পড়ে দেখে না।
১৪/১/২৫