বিবর্ণ
---
আমাদের সব রঙ যখন মুছে গেল
খটখটে শুকনো দহনের কাল
তখন আকাশে শকুন
চারপাশে হায়েনার দল
আঁচল পেতে দিলে তুমি ঊষর ভূমিতে
তোমার কান্নায় চৈত্রের খরা কেটে যায়
আকাশে তখন মেঘের আনাগোনা।
রাতভর তোমার প্রার্থনা গীতে
শিশিরে ফোঁটা জল, বিন্দু বিন্দু
আধমরা দুর্বাঘাসে হাসির জোয়ার
হাসে সূর্য্য আকাশে,
একটি একটি করে আবার ফোটে ফুল
ক্রমশ মিলায় দূরে দুঃখগাথা
পৃথিবীতে রঙের জোয়ার আসে ফিরে।
তোমার সযত্নে লুকোনো ছল
তোমার সযত্নে আড়াল করা সুখ কিংবা দুঃখ
কিছুই খুঁজে দেখিনি কখনও
যে আলো, যে বাতাস আপনি পাই
আপনি পাই যাবতীয় যেমন
তেমনি তোমাকে, তোমার অস্তিত্বে
যেন ছিল আজন্ম অধিকার,
কেন এমন হয়?
অভিমান, দুঃখ, রাগ সব পড়ে থাকে
যখনি মুক্ত পাখি, বন্ধন ছেড়ে
হাতে থাকে রক্তরাঙা গোলাপ
চোখে থাকে ব্যথার আকর
রঙ যায়, রঙ ফিরে আসে
শুধু তুমিই জানলে না
তোমার অন্তর্ধানে বিবর্ণ হয়
আস্ত একটি জীবন।
তুমি যাও, যাও মেঘেদের নায়ে
নতুন কোন দেশে
সীমানার ওপারে, অন্য কোথাও
কোন অসীমে যাও
কোন পাখিই তার ঠিকানা জানে না
পড়ে থাকে দ্বন্দ্ব, কলহ আর নির্বিষ
ভালবাসার একান্ত গৃহকোণ।
সুতীব্র অভিমানে অতৃপ্ত গুপ্ত হৃদয়
অপ্রকাশিত থাকে চেনা জনপদে
খানিক বিলাপ শেষে
থাকে না চিহ্ন কোথাও
যেন কাঁচামটির ঘর, ঝড়ের আঘাতে
ছিন্নভিন্ন হয় অবশেষে
থাকে না লেশমাত্র অবশিষ্ট তার, উধাও।
১৯/৩/২৫