আশা৷  
-------
বাঁশিওয়ালা! তুমি কবে আসবে?
আমি যে অপেক্ষায়
ঠায় দাড়িয়ে আছি, পুরনো
পাতাঝরা বটবৃক্ষের নিচে,
বাঁশিওয়ালা কবে বাঁজবে তোমার সুর?

অনন্তর আমার উপর দিয়ে বয়ে যায়
একটানা ঝড়ো বাতাসের ঝাপটা
ভীষন গর্জনে ধেয়ে আসে শিলাবৃষ্টি
ধানি ক্ষেত তচনছ হয় প্রচণ্ডে আঘাতে
ক্ষত বিক্ষত হতে থাকে দূর্বাদল,
অতঃপর জলমগ্ন ভরা ফসলের ক্ষেত।

আমার সমস্ত অস্তিত্ব বিলোপ হবার আতঙ্ক নিয়ে
আমি তবুও ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি
একসময় দেখি আমার প্রিয় বকুল গাছটা
দুমরে মুচড়ে পড়ে আছে মাটির কণ্ঠলগ্না হয়ে
তারপর রাত্রি নেমে আসে,দীর্ঘ-অমানিশা
দীর্ঘশ্বাসের ছোঁয়ায় ভারি হয় আমার পৃথিবী।

জলমগ্ন আমি তবুও দাঁড়িয়ে থাকি
সেই নিকষ কাল অন্ধকারে,
জানি-তো ভোর হবে নিশ্চিত
আশা জেগে থাকে বুকের কন্দরে
মনের অন্দরে নোঙর করে অবিরাম-
আশা নামের এক টিমটিমে আলো,
দমকা বাতাসে নিভু নিভু হয়ে আসে
তবুও জ্বলতেই থাকে।

জানি একদিন আমার চিরচেনা এই পৃথিবীতে
হবে অবাক সূর্যোদয়
তুমি আসবে নামাতে আমার পুঞ্জিবীত বেদনার ভার।
বাঁশি ওয়ালা তুমি কি আসবে?
মনের ভিতর শংকা দানা বাঁধে ক্রমশ-
অপেক্ষায় তোমার তবুও আমি দাঁড়িয়ে ঠায়
একসময় ক্লান্তিতে নুয়ে আসে শরীর
অবসাদ ঘিরে ফেলে চারদিক
চোখ বুজে আসে, তবুও মনে ক্ষীণ আশা
যদি তুমি আসো!!
৪/২/২০১৮