আর্তি
--
আমার শিয়রে দাঁড়িয়ে যমদূত
নিষ্ঠুর হোলিখেলা খেলে,
মায়াবতী মেঘ তুমি কোন সুদূরে?
একদিন আমি প্রজাপতি রঙ মেখে
মাতাল হাওয়ায় দেখেছি জুঁই ফুল
দেখেছি মাধবী আর বিমোহ প্রসূন।
অসু যার মায়ার কাননে বিমোহিত সুর,
কত সুর সমধুর জীবনের ঘ্রাণ
অঞ্জলী পেতে নিয়েছি কত পুস্পসম
জীবনের নির্যাস,
তোমার সাথে হেঁটেছি পথ বহুদিন
বেলা-অবেলায়, স্বপ্ন বিভোর হৃদে।
অকস্মাৎ ছন্দপতনে নিথর কায়া
তুমি আর নেই সেই তুমি,
আমি আর নেই সেই আমি
কাঞ্চনের প্রমত্ত চক্রাবর্তে হারায় স্বর্গ
একাকী শয্যায় নিথর আমি
হঠাৎ ঝড়ে টালমাটাল তোমার পৃথিবী।
ভাবলেশহীন আমি তবুও হিসেব কষি
কতটা ছিল দহনের কাল
কতটা ছিল নির্ভেজাল প্রাপ্তির যোগফল
আনমনে চোখে ভাসে পঞ্চমী তিথিতে
সমুদ্র কতটা বিহবল ছিল জোছনার স্নানে
জানালার ওপাশে কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় তৃষিত দুটি চোখ
কতদিন খুঁজেছে একটি পাখির বাসা।
সব পাখি ঘরে ফিরে না
সব নদী হারায়না সাগরে
মাঝপথে ডাক আসে অদৃশ্য ওপারের
আমি দোলাচলে,আমি ভীত হরিণীর মত
ত্রস্ত নয়নে খুঁজে যাই একটি একান্ত নির্ভরতা।
বল দাঁড়াবে আমার পাশে,বল দাঁড়াবে না?
শিয়রে যমদূত দাঁড়ায়ে, আমি ভয়ে বিহবল
তোমার হাতে হাত দুটি রেখে নিব শেষ দীর্ঘশ্বাস
তোমার চোখে নিশ্চিন্তে রাখব দুটি চোখ,
তারপর গভীর মমতায় তুমি আমার আধবোজা
নিথর দুটি চোখ বুজে দিও,
আমি হৃষ্টচিত্তে হারাব নীলিমায়।
---২৫/৭/২০১৮