ছেলেবেলার দুরন্তপনা অনেক রকম কাণ্ডকারখানা।
ভরদুপুর হোক বিকালবেলা, খেলার ছিলো না কোন মানা।
নদীর ঘাটে বালুর চরে করতাম সবাই মিলে খেলা।
মৃত্তিকা দ্বারা তৈরি করতাম দালান -কোঠা ,পাহাড় নদী আরো কত কি ।
নাওয়া-খাওয়ার কথা ভুলে খেলতাম সকাল দুপুর বেলা ।
বাড়ির পাশে স্কুলের মাঠে,
কানা- মাছি, বৌছি খেলা, খেলতাম বিকাল বেলা।
পাড়ার সবাই, খেলতাম হা-ডু-ডু দাড়িয়াবান্দা।
সূর্য অস্ত পরে , বাড়ি ফিরে যেতাম যখন,
মায়ের বকুনি খেতাম ইচ্ছে - মতো।
দাদা, দাদী বলতো, মা কে,
ছোট বেলা খেলবে তাঁরা, বাধা দিও না ।
বুঝবে যখন, পড়বে তখন,
চিন্তা করিও না, রফিকের মা।
সন্ধা বেলা পড়তে বসে করিতাম দুষ্টামি ।
মা বলতো কি করছিস, পড়ছিস না তো খোকা।
না মা, পড়ছি আমি, রাগ করিও না।
সকাল বেলা স্কুলে যেতাম।
শিক্ষক মসাই পড়া ধরিলে,
পড়া লেখা না পারিলে, কান ধরে দিত মলে।
দুঃখ লজ্জা পেতাম মনে ।
বাড়ি ফিরে মনে, মনে পণ করিতাম ,
পড়ার সময় পড়বো খেলার সময় খেলব।
দুষ্টুমি পড়ার ফাঁকি আর কখনো দিব না।
শিক্ষক মশাই স্নেহ করিবে,
মা - বাবা আমাকে ভালবাসবে।