ছোট গল্প

আষাঢ়ের প্রথম দিন মেঘলা আকাশ চারিদিকে বৃষ্টি পড়ছে তো পড়ছে
হঠাৎ আসমানেতে হাঁক-ডাক সাথে  বজ্রপাত,  ঝলকানি বৃষ্টি  মনের ভিতরে ভয় চলে আসে এই বুঝি পড়লো গাই
হঠাৎ  দক্ষিণ আকাশে কালো মেঘের খেলা
মনে হয় এই বুঝি সন্ধ্যা হয়ে এলো
  কিন্তু  এখনো  ভর দুপুর  । সবকিছুতেই যেন বাঁধা যেন সব কাজেই মানা তাইতো শিল্পী গেয়েছে আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন ঝর ঝর ঝরেছে তোমাকে আমার মনে পড়েছে ।  তারপরও মানুষ কে কি বন্ধ করে ঘরে  রাখা যায় । সেই ছোট বেলা থেকে আষাঢ়ে গল্প শুনে আসছি । শাব্রবণ আর আষাঢ় দুই মাস পাশাপাশি , কিন্তু এই মাসের কি মিল। অনেকে এই দুই মাস কে মধুর মাস বলে থাকে । কারণ আমাদের জাতীয় ফল কঁঠাল পাঁকে আম জাম লিচু জামরুল আরো কত বাহারী ফল মূল
৷  খাওয়ার ধুম পড়ে যায় । নদী খাল বিল ডোবা সাগর দীঘি এই বষায়র সময়  নব যৌবন ফিরে পায় ফিরে পায় তার আসল রূপ ।  যেদিকে দুই চোখ যায় শুধু পানি আর   আর পানি কোল নাই কিনার নাই নাই কোনো ঘাট নেই কোন ঠিকানা  । একসময় আমাদের আমাদের এই  রূপসী বাংলায় নদী খাল-বিলে পালতোলা নৌকা  বইয়ের চলতো  সারি সারি । মাঝি মাল্লা মুখে   কি মধুর সুরে গান  ভাটিয়ালি পল্লীগীতি ভাওয়াইয়া সেই গানগুলো শুনে মানুষের মন ভরে যেত ক্লান্তি দূর হয়ে যেত। যেমন একটি গান মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে  আমি  আর বাইতে পারলাম না ।সারা জীবন উজান বাইলাম বাটির  দেখা পাইলাম না ।  যেমন ও নদীরে একটা কথা শুধাই  তোমারে । কোথায় তোমার ঘর,,,,,,,,,,, ইত্যাদি ।
এই দেশের সবচেয়ে  খরস্রোতা   নদী হলো  পদ্মা ও মেঘনার পানি মিলিত হয়ে এক অপরূপ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।  পদ্মা ও মেঘনার  দুই নদীর পানির রং  দুই রকম । মহান সৃষ্টিকর্তার কি অপরূপ সৃষ্টি।
এই পানির উপরে    চলে লঞ্চ জাহাজ ইস্টিমার হাজার হাজার লোকের চলাফেরা ।  এই বর্ষাকালে শুধু চারদিকে পানি আর পানি মধ্যখানে আসলেদেখা যায় দু'চোখে  ।

তাই কবি বলছেন

পদ্মা তোমার বুকে  কত মায়ের
   কুল করেছো খালি  
ছেলে হারা মায়ের হাহাকার
আজ আমি  শুনি ।
তুমি কি পারবে সেই মায়ের কান্না থামাতে
যে অশ্রু গুলো মায়ের বুক বেয়ে মাটিতে গড়িয়ে পড় ছিলো ।
যে বাবা তার ছেলে হারিয়ে ছিল
ভাই তার ভাই কে।
   এমন হয়েছিল সমস্ত পরিবারে তোমায় বুকে তার বংশধর করেছিল নিঃশেষ ।
পদ্মা তুমি সর্বনাশা
তুমি বড় কপাল পোড়া হতভাগা


চলবে........