অবলুপ্ত শশী, আঁধার ধরণী, আজ ঘোর অমাবস্যা।
তান্ত্রিক তুমি ধূপ জ্বালো, চলে এসেছে ডাকিনী লগ্ন।
প্রহেলিকার রাজ্যে লেগেছে বামাচারের জাদুকরী ছোঁয়া।
দোর খুলে দাও, অতিপ্রাকৃত তুমি আমন্ত্রিত!
কালো কাঁচের আয়নায় দেখো অশরীরী প্রতিবিম্ব,
কান পাতলে শুনতে পাবে তাদের নিষ্ঠুর অট্টহাস্য।
কালো মোমের টিমটিমে আগুন থরথর করে কাঁপে।
ওই ক্ষীণ আলোর নিচেই অন্ধকার পৃথিবী, যেথায় ওদের আবাস।
গগন বিদীর্ণ করে হঠাৎ গর্জে ওঠে আকাশ!
ওহে পিশাচসিদ্ধ! মহাশক্তিধর বেতাল জাগ্রত করো!
চারিধারে শোনা যায় প্রেতাত্মাদের ফিসফাস।
তান্ত্রিক কহে, ‘এসেছ? এখন তো তোমাদেরই লগ্ন’
পাতালের অতল থেকে গমগম করে ওঠে বজ্রের মতো কণ্ঠ-
‘আমাদের এখন কোনো লগ্ন নেই,
পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের প্রতি মুহূর্তই আমাদের,
তোমাদের মনের অন্ধকারেই আমরা লালিত,
তোমাদের নির্মমতা আমাদের করেছে অসীম ক্ষমতাধর।
স্বার্থপরতায় আচ্ছন্ন নির্দয় মানুষ নিজেদের কিভাবে ধ্বংস করে আমরা শুধু তাই দেখি।
এই পৃথিবী এখন আর অন্য কারো নয়, শুধুই আমাদের।’
তান্ত্রিক ফুঁ দিয়ে মোম নিভিয়ে ঘুমোতে যায়।