সোনালি ধানক্ষেতে যেন প্রমত্ত স্রোত ওঠে
মৃদুমন্দ বাতাসে অন্য কারো ছিন্ন বসন গায়ে সে বারংবার থরথর কোরে কাঁপে।
সময়-আধার উপেক্ষা কোরে সে দুই হাত দুই দিকে মেলে রাখে চিরদিন-
কিন্তু কেন? সে কি উড়তে চায়?
বাঁশের আগায় পোড়া মাটির হাঁড়িতে বিদঘুটে অভিব্যক্তি এঁকে দিয়েছে কে যেন
কিন্তু অভ্যস্ত কাকগুলো আর জায়গা না পেয়ে ওর হাতেই এসে বসে।
খড়কুটো-ভরা হৃদয় নিয়ে সে দাঁড়িয়ে থাকে নিরন্তর,
আর শুকনো পাতাগুলো পবনে ভেসে পার হয়ে যায় তেপান্তর।
যখন রাত নামে তখন একদিকে সন্ধ্যাতারা টিমটিম করে জ্বলে,
আর অন্যদিকে একফালি চাঁদ একটুকরো আলো ছুঁড়ে মারে ওর মুখে।
সে যেন একটু খুশি হয়, আর দুলতে থাকে,
আবার একটু থেমে সে ভাবে, উড়ে উড়ে চাঁদের দেশে কি যাওয়া যায়?
কোনো এক বিষণ্ণ দিনে প্রবল ঝড় ওঠে
সে খুশি হয়, যেন এবার সে উড়তেই পারবে, কে ঠেকাবে ওকে?
শুধু ঠুস্ করে একটা শব্দ হয়-
ভাঙা হাঁড়ি আর ভাঙা বাঁশ ছিটকে পড়ে থাকে ক্ষেতের আনাচে-কানাচে।
চাঁদের দেশে ওর আর যাওয়া হয় না,
শুধু ওর পরনের বসন ঝড়ো বাতাসে শোঁ শোঁ করে উড়তে থাকে।