কষ্টের বাগানে বীজ বুনে মালি, নিত্য করে চাষ
আগামীর ফসল তুলবে  ঘরে, সুখে বারোমাস ।
দিবা রাত্রি তার রক্ত ঘেমে ঘেমে হয় পানি,  
দূর হবে জীবনের যত হতাশা,যাতনা, গ্লানি।  
চেয়ে আছে বাড়ির অবুঝ শিশুরা মুখপানে ,
উঠলে এবছর ফসল , নতুন জামা পাবে ওরা জানে।
মেয়ের স্কুলের জুতা সেই কবে গেছে ছিঁড়ে,
কাদামাখা পথে সে হেটে চলে যায় ঐ দূরে ।  
বউটার মরণব্যধি, শয্যাশায়ী, মৃত্যুপথযাত্রি বহুদিন ,
ওষুধ, পথ্য, যোগাড়েই তার পাহাড় সম ঋন ।
বৃদ্ধ পিতামাতার আহা; আজ নাই বেশি আবদার,
একমুঠো ভাত জুটে তাতেই তারা খুশি শতবার ।
বাড়ির পোষা কুকুর বিড়ালটাও আজ কঙ্কালসার,
মালিক নিজেই ক্ষুধার্থ ওদের কেমনে জুটে কাঁটা; হাঁড় ।
হঠাৎ এক বন্যায় ভেসে গেলো সব প্রত্যাশার ভেলা,
আবার সেই দুর্দিন, জীবনে দুঃখ্য কষ্টের মেলা ।
বাজারের সব নিত্যপন্যের দামে আগুন আকাশ ছোঁয়া
গরীব চেয়ে দেখে কার বাড়িতে উনুন থেকে উঠে ধোঁয়া ।
একদিন ফকির এলো দরজায়; দিল সজোরে হাঁক,
দে না বাবা কিছু ঝুটা, বউ বাচ্চা নিয়ে সুখে থাক ।
দুদিন আগের ছিল পানি দেওয়া দুর্গন্ধ বাসি ভাত,
অমৃত ভেবে অশ্রু নয়নে তাই নিল পেতে দু হাত ।
সমাজের একপ্রান্তে চলছে এই নিত্যদিনের হাহাকার,
অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আমলা মন্ত্রিদের সম্পদের পাহাড়।
সমাজের দুইপ্রান্তে বিভক্ত আজ জাতি, দূর্বল সবল উঁচু নিচু  জাঁতে,
হারামজাদা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট তবুও চলছে বেশ; ঘীঁ ভাতে ।
ভাংগতেই হবে এ সমাজ, চলতে পারে না এভাবে বেশি দিন,
শূয়রের বাচ্চা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেংগে, শোধ দিতে হবে ঋন ।