যতো পারো ঝড়াও তুমি ফোটা ফোটা রক্তবিন্দু
যেন রেখো একদিন তা জমা হবে, বিপ্লবের সিন্ধু।
উত্তাল তরঙ্গে ভেসে যাবে জুলুমের সাঁজোয়াজান,
আকাশে উদ্ধত শিরগুলি,লুটাবে ধুলোয়, খানখান।
তোমাদের অট্রহাসি, অহমিকায় পদচারণা ক্ষিপ্ত,
মানবতায় ধরেছে ঘুণপোকা, নির্লজ্জতায়, লিপ্ত।
স্তন চোষা শিশুগুলি কি করে জানবে মা নেই বেঁচে,
এদিকে তোমাদের দিন কাটে, উল্লাসে, গেঁয়ে নেচে।
মাথার উপরে নগ্ন আকাশ, বাতাসটাও বড্ড ভারী,
শান্তির পায়রা আসছে না ফিরে, কেন এত দেরি?
স্রষ্টার দেওয়া বুদ্ধির কি উত্তম প্রতিদান, লালরক্ত,
এ পৃথিবী আজ, শয়তানের খাস গোলাম, প্রভু ভক্ত।
জাতিসংঘের নামে কু জাত সংঘের চোখ দুটি কানা,
ওরা বসে নিন্দা জানায়, আর শয়তান দেয় হানা।
মাসের পর মাস যুদ্ধ, লাশ, ধ্বংসের নিচে চাঁপা,
মুসলিম নামধারী দেশ ;মুনাফেকি, ভিতরে ফাঁপা।
আর চাই না যুদ্ধের দামামা শান্তিতে ঘুমাক নগরী,
যেখানে রাতগুলি স্বাধীন, লাগবে না নির্ঘুম প্রহরী।