রাত কেন এত নিস্তব্ধ! কালা; বোবা হয়ে গেছে!
কার কলংক ঢেকে দিল সে, আধাঁরের পিছে।
এত অভিশাপ, দীর্ঘশ্বাস, ঢাকবে সে কি করে,
সব কিছুর হিসাব হবে বরাবার, আগমনী ভোরে।
হুতুম পেচাঁদের রাজত্বে ভুতুড়ে রাত থমথমে
কি ভেবেছিস, আসবে না ভোর, সবাই রবে ঘুমে।
আঁধারের সম্রাজ্য, শিয়ালের দুচোখ করছে জলজল
শশ্মানের পোড়া হাড়ে হবে ভোজন বেধেছে সে দল।
তবুও রাত এত গভীর নিস্তব্ধ,কেন নয় সে প্রতিবাদি
জাগায় না ঘুমন্ত প্রহরীকে,চেয়ে দেখবে বরবাবাদি।
শশ্মানের গেছো পুরানো ভুত গুলো খুসিতে নাচানাচি
লাশের গোস্তে ভাগ দেবে না, যতই আসুক না মাছি।
দূর থেকে দু চার খানা অভুক্ত কুকুরও দিয়েছে সায়
ঝিঁঝিঁপোকা বিরতিহীন ডাক, যেন ওরাও ভাগ চায়।
নিশাচরীদের আনাগোনা, কার ভাগে কত হবে জমা
ভাগে যদি হয় কম, যুদ্ধের হুশিয়ার করবে না ক্ষমা।
সবার প্রতিক্ষা, ভোজন হবে ভোজন, পোড়া লাশ
কিন্তু একি, পুব আকাশে সুবেহ সাদিকের পূর্বাভাস।
তবে কি ব্যর্থ, সকল আশা, ধ্বংসের নীল নকশা
ভোর কি তবে আসবেই, স্বপ্ন গুলি হবে ঝাপসা?
এই যে এত আয়োজন, রাতের আঁধার, জমকালো
রক্তিম লাল সূর্যটা আসবেই, দিবে সোনালী আলো।