এক কেজি চালের ভাত আর বারোটি খাবার মুখ,
কতুটুকুই বা পড়বে ভাগে, তবুও তো আছে সুখ।
সকাল টা আধপেটা ছিল, গুড়, চিড়া আর মুড়ি,
সমাজপতি চোর পিছে হাটে, আগে চলে তার ভুড়ি।
অভাগা মা ভাগ করেছে বারোটি থালায় মোটা ভাত,
আড়ালে গিয়ে নিজে খায় পানি, শুন্য যে তার পাত।
ছেলে ডেকে বলে ও মা তুমি খাবে আরো কখন
মা বলে ওরে পেট টা ফোলা, কি করে খাবো এখন!
আসলে কি মায়ের পেট ফোলা! নাকি পুঁজিবাদের,
নিত্যপন্যর সিন্ডিকেট করে পেট ভরে না যাদের।
সরকারি লোক; বেতন ঊর্ধ্বগতি সাথে বাজার দাম,
এদিকে দিনমুজুরের সম্বল, রক্ত পানি করা ঘাম।
ধনী লোকদের জীবনে রঙিন দিনলিপি, মহাকাব্য
ক্ষুধার জালা বুঝে না ওরা, তবু নামধারী তারা সভ্য
কেউ সাজার ভয়ে ভীত, নর্দমায় ফেলে দেয় টাকা,
কারো বা আগামীকালের চাউলের ড্রামটিই ফাঁকা।
কেউ নাম বে নামে বানায় বাড়ি, চমকদার গাড়ি,
কারো জুটে না লজ্জা ঢাকার মোটা কাপড় শাড়ি।
কেউ কিনে রুই কাতলা, কেউ কিনে ছোট পুঁটি,
কারো প্রাসাদ জমকালো, কারো নাই ঘরের খুটি।
এই অসম সমাজ তৈরি করেছে মানুষ রুপি দানব
আত্মা খেয়েছে ঘুনেপোঁকায়, যদিও দেখি মানব।
ওরে কে আছিস তোরা, পুঁজিবাদের মুখে মার লাথি,
অভুক্ত রবে না মানব সন্তান, বাজা সাম্যর গীতি।