খালেদ রমেশ ডেভিড বসিল এক নির্জন ঘরে,
চিন্তায় বিমর্ষ,ব্যবসায় বড় মন্দা যায় কি যে করে।
খালেদ বলিল কিছুটা বুদ্ধি  দাওনা গো রমেশ দাদা
মেহনতের ফসল সবাই ঘরে তুলবো আধা আধা।
ডেভিড বলিল ওহে ব্রাদার আমিও বা কম কিসে
একবার শুনেই দেখ না, ধার্মিকের দল যাবে পিষে।
দেশের মানুষগুলি ধর্মের লাগি জীবনও দিতে রাজি
তুরুপের তাস টা নাও হাতে শেষ চালে লাগাও বাজি
হিন্দুর সাথে মুসলিম যদি লেগে যায় দাংগার খেলা
টাকা আর টাকা, আমাদের ব্যবসায় জমবে মেলা।
খালেদ বলিল ভায়া, খালেদ রমেশের মারামারি
তুমি ডেভিড দখল করিবে দুই আহাম্মকের বাড়ি।
ডেভিড বলিল ব্রাদার, এখানে মদের আসরে যারা
না হিন্দু না মুসলিম না ঈসায়ী, ধার্মিক কেহ তারা।
টাকাই শুধু ধর্ম, ধ্বংসই মূল কর্ম ইহাই বড় পুঁজি
ধর্মের মাইকে গাহি জয়গান আড়ালে ব্যবসা খুঁজি।
হেসে সব কুটি কুটি  মদের গ্লাসে লাগিয়ে টোকা
নতুন ব্যবসা শুরু, অন্ধ ধার্মিককে দেবে ধোঁকা।
পর দিন ভোর হল, হিন্দুর ঘর, মন্দির হল পোঁড়া
মাসজিদে হামলা, দুই জাতের যুদ্ধের পতাকা উড়া।
আল্লাহু আকবার, জয়শ্রীরামে মুখোমুখি দুই জাতি
পশ্চিম আকাশে ডুবে গেল সূর্য, আধারে নাহি বাতি
রক্তের বন্যায় ভেসে গেল অন্যায়, নাকি মানবতা
সবাই জান্নাত স্বর্গ নিয়ে ব্যস্ত, কেই বা হবে ত্রাতা।
সারাদিন যুদ্ধ,আগুন, রক্ত, আর লাশ সারি সারি
অসহায় ধার্মিকের কান্নায় আকাশ বাতাস হল ভারী
রাতের অন্ধকারে খালেদ রমেশ ডেভিডের আসর
অন্ধ ধার্মিকরা মরে শেষ ওদের আজ খুশির বাসর।
কত অস্ত্র কেনাবেচা হলো, লাভের টাকা বাটোয়ারা
কিসের ধর্ম, ওরা মদ টাকা আর নারীতে মাতোয়ারা অভাগা অন্ধ ধার্মিক যুগে যুগে লেগে যায় হানাহানি
খালেদ রমেশ ডেভিড রা খায় সে রক্ত, লালপানি।