সুখের খোঁজে ছুটে বেড়াও ফেলিয়া দীর্ঘশ্বাস,
সুখ না পেয়ে শুন্যে চেয়ে করছো হাঁসফাঁস।
দুঃখের পাল্লা এত যে ভারী সুখ অতি নগন্য,
হন্যে হয়ে নির্ঘুম কাটে কিঞ্চিৎ সুখের জন্য।
সুখের লাগি প্রবাস কাটে মাতৃভূমি ছাড়ি,
অর্থ সময় ব্যয় করে সে ভিন দেশে দেয় পাড়ি।
ভ্রষ্ট পথে পা বাড়িয়ে অসুখী যে নিজ ভূমে,
বুঝে নিও তারা অন্ত চক্ষু ছাড়া রয়েছে অঘোর ঘুমে।
সুখের উৎস প্রেমিকার সেই ধুলো জমা চিঠিতে,
সুখ খুঁজে পাই এই অবেলায় প্রেমিকার সিঁথিতে।
অরুণ প্রাতে শিশির যখন আমার চরণ দিবে ধুয়ে,
দিয়ে যায় তখন প্রকৃতিরা এসে স্বর্গের সুখ ছুঁয়ে।
বসন্তে যখন বৃক্ষরাজি ভরে যায় ফুল-পল্লবে,
এমন সুখ আর কোথায় পাই, আছে বুঝি এই ভবে!
দেখেছো কি, মায়ের কোলে নিষ্পাপ শিশুর হাসি,
দেখেছ কি মহীতে, সেই হাসিতে হতে কখনো বাসি?
দেখ না ফিরে ওই সুদূরে মনোলোভা জুম ক্ষেত,
সবখানে সুখ না করো যদি ধনী গরীব ভেদাভেদ।
তুমি যদি কভু পাখির নীড়ে না পাও সুখের লেশ,
ধরে নিও তুমি এই ধরণীর বেঁচে থেকে ও শেষ।
পাহাড় বেয়ে নেমে আসা ঝর্নায় যদি না পাও মধুর ধ্বনি,
মনে রেখো তবে চির অসুখী হবে যত থাকুক মুক্তো-মণি।
সুখ খুঁজো কীসে আছে সেথায় মিশে স্বদেশের মাটি জল
জ্ঞানী লোক সেজে পায়নি সুখ খুঁজে নির্বোধ তারে বল।

তারিখ ঃ১৭/০৩/২০২২ খ্রী
কমলছড়ি, খাগড়াছড়ি।