চাঁদের জ্যোৎস্না এলো যে ধরায় উল্কা পিঠে চড়ে,
শিউলির ঘ্রাণে ভরে গেছে মোর ছোট্ট ঘরটি জুড়ে।
আড়মোড়া ভেঙে জেগেছে তরু, পাখিদের কলরব,
আঙিনা জুড়ে মেতেছে যেন সাদা, লাল ফুল সব।
জোনাকিরাও যে আপন মনে ছড়ায় দীপ্ত আলো,
ভরা জ্যোৎস্নায় কেটেছে সবি রাতের আঁধার কালো।
মিটমিট করে জ্বলছে দূরে আকাশের তারাগুলি,
সমীরণে দোলে নাচছে যেন বাগিচায় যত কলি।
প্রকৃতিও যেন সাজ সাজ রবে শুভচিহ্ন হবে কি তবে?
পশ্চিমাকাশে সন্ধ্যাতারাটিও দীপ্তি ছড়াল সবে।
এমনি দিনে অতি শুভক্ষণে তুমি এলে মোর ঘরে,
তোমায় পেয়ে ওরে সোনা মোর বুকটি গেল ভরে।
তোমায় পেয়ে ধন্য হলো ভেঙ্গেছে খুশির বাঁধ,
এই জনমে পূর্ণ যে হলো বাবা হওয়ার সাধ।
স্নেহ মেখে দিয়েছি তোমায় আমার বুকেতে জড়ি,
বাবা ডাকটি শুনবো বলে আকুল পিয়াসে মরি।
সারাটি ক্ষণ চুপটি করে থাকতে মায়ের কোলে,
হাত-পা মেলে কাঁদতে কখনো ছোট্ট দোলনায় দোলে।
ঘুম পাড়ানি গান শুনে সে ঘুমাইত নিরালায়,
স্বপ্নপুরীর স্বপ্নরাও যেন মেখেছে সারা গায়।
তুমি যে হবে আমার রাজ্যে স্নেহের রাজকন্যা,
প্রার্থনা করি হতে পারো যেন এই ধরণীর ধন্যা।
তারিখ ঃ২৪/১০/২০২০
কমলছড়ি, খাগড়াছড়ি।