মার্চ মাস এলে সবাই বলে অগ্নিঝরা মার্চ,
মজার ছলে জানবে বলে গুগলে দেয় সার্চ।
ছেলে আমার ইচ্ছে জানার মনে হাজার প্রশ্ন,
মাসটা এলেই এসব ভেবেই থাকে শুধু মগ্ন।
সুযোগ পেলে অবুঝ ছেলে শুধায় বারে বার
কেমন করে অগ্নি ঝরে মার্চ মাসেতে তার!
ব্যাপার খুলি আমি বলি শোনো হে বাপ জান,
স্বাধীন বাংলা জয়ের মালা বঙ্গবন্ধুর দান।
রেসকোর্স উদ্যান জনতার বান সাতই মার্চের দিন
মঞ্চ ঘিরে লোকের ভীড়ে রাখা যে দায় পিন।
তপ্ত লহু মুহুর্মুহু জয় বাংলার ধ্বনি,
জান দেবে আজ তরুণ সমাজ আসুক তবে শনি।
নায়ক বেশে এলেন শেষে দৃপ্ত পায়ে হেঁটে,
মুক্তির বাণী বলবে জানি লক্ষ হৃদে গেঁথে।
খুলল দুয়ার জাগল জোয়ার লাগল পালে হাওয়া,
স্বাধীন বাংলা যুবা বালা লক্ষ প্রাণের চাওয়া।
বীরের বেশে কে রোধে সে বজ্রকণ্ঠ বাণী,
মঞ্চে এবার শোনালেন তাঁর অমর কাব্যখানি।
স্বাধীনতার সুপ্ত বীজটার সেই দিয়েছে বুনে,
কৃষক মজুর কামার কুমোর আম জনতার মনে।
সেদিন ছিলো আঁধার কালো পঁচিশ মার্চের রাত,
নির্বিচারে মানুষ মারে করলো গুপ্তঘাত।
তাঁর নির্দেশে পেল দিশে যুদ্ধ হলো শুরু,
বাংলার বুকে দিল রুখে এ যেন এক কুরু।
শত্রু সেনার নৃশংসতার ঝরলো কত রক্ত,
পুড়ল কেহ জ্যান্ত দেহ শত মুজিব ভক্ত।
বলছে সবাই মার্চ মাসকে তাই অগ্নি ঝরা বলি,
এই মাসেতে উঠল মেতে ফুটল বিজয় কলি।
বাংলার মুজিব করল সজীব কোটি জনতার,
বাংলার বন্ধু বঙ্গবন্ধু বাংলার রূপকার।
তাঁহার মতো ত্যাগী নেইতো মহামানব আর
স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বাংলার অহংকার।
কে শোধিবে আছে ভবে তাঁহার ত্যাগের দাম?
স্বর্ণাক্ষরে শ্রদ্ধা ভরে থাকবে লেখা নাম।
স্বরবৃত্তঃ ৪+৪+৪+১/২
তারিখ ঃ ০৭/০৩/২০২২ খ্রী
কমলছড়ি, খাগড়াছড়ি।