ক্ষণে ক্ষণে পড়ে মনে তোমায় শুধু বাবা,
তোমার মতো ধরণীতে আপন ছিল কেবা?
সেদিন হঠাৎ চলে গেলে এলে না আর ফিরে,
তোমার অভাব ভাবি যখন আঁখির অশ্রু ঝরে।
পাঠশালাতে গিয়েছিলাম তোমার কাঁধে চড়ে,
সেদিনের সে কথা আমার আজো মনে পড়ে।
প্রথম গুরু দেখে সেদিন পেয়েছিলাম ভয়,
সেদিন তুমি যুগিয়েছিলে সাহস আর অভয়।
তুমিই মোরে শিখিয়েছিলে দিতে গুরুর সম্মান,
দিয়েছিলে তুমি বাবা মোর শিষ্টাচারে শাণ।
রোদ বৃষ্টি সহ্য করে কত কষ্ট করে,
আমার মুখ দেখে বাবা খুশিতে না আর ধরে।
কতই না খুশি হতাম নতুন কাপড় পেয়ে,
সুখী হতে তুমি বাবা মোদের পানে চেয়ে।
আমায় পেয়ে ধন্য হলে যেন পরম পাওয়া,
সন্তান তোমার মানুষ হবে ছিল তোমার চাওয়া।
অসুখ-বিসুখ আপদবিপদ আসতো কত শত,
তুমি থাকতে আমার পাশে বটবৃক্ষের মতো।
ক্ষমা করো বাবা আমায় শুধিতে পারিনি ঋণ,
তোমার শোকে পাথর হয়ে জ্বলছি সীমাহীন।
জানি তুমি ফিরবে না আর এ জগৎ ভবে,
চিরদিনই তুমি মোদের মণিকোঠায় রবে।
বিধাতার নিষ্ঠুর বলি তোমায় নিল কেড়ে,
কেমন আছো ওপাড়েতে তুমি মোদের ছেড়ে।
পরম সুখে থেকো তুমি স্বর্গবাসী হয়ে,
থাকবো মোরা এই ভবেতে তোমার স্মৃতি লয়ে।
তারিখ ঃ ১৩/১০/২০২০ খ্রি
কমলছড়ি, খাগড়াছড়ি।