সবার আগে ওরা জাগে মোরগ ডাকা ভোরে,
উদোম গায়ে পাহাড় বেয়ে জুম-পাহাড়ে ঘোরে।

ভোর না হতে বুনো পথে জুম পাহাড়ে যায়,
দাবা হুক্কায় শক্তি যোগায় প্রাণ যে ফিরে পায়।

জঙ্গল পুড়ে পাহাড় ফোঁড়ে  বীজ বুনিবে তায়,
বীজ নয় সে স্বপ্ন যে সে বুনবে পাহাড় গায়।

দুপুর হলে ঝর্ণার জলে কাঁকড়া চিংড়ি ধরে,
বাঁশের চোঙায় রান্না বসায় খায় সে তৃপ্তি ভরে।

ক'দিন পরে উঠবে ভরে ফল-ফসলের মেলা,
বিকেল শেষে বাতাস এসে খেলবে ঢেউয়ের খেলা।

ঘামের জলে শস্য ফলে লাগবে জোয়ার প্রাণে,
জুমের পাড়া মাতোয়ারা বিন্নি ধানের ঘ্রাণে।

কাজের শেষে বসবে এসে খোলা মাচাং ঘরে,
স্বপ্ন দেখে কাটবে সুখে মনটা যে যায় ভরে।

মাচাং ঘরে সুখ তান ধরে পাহাড়িয়ার গানে,
জীবন ভরে থাকবে পড়ে জুম পাহাড়ের টানে।

সন্ধ্যা হলে আড্ডার ছলে বাজবে বাঁশির সুর,
পাহাড় বেয়ে দূরের গাঁয়ে ছড়াবে অনেক দূর।

রাতের বেলায় জোনাক ছড়ায় হাজার নিয়ন আলো,
সে আলোতে মনটা মাতে ঘুচে আঁধার কালো।

মনটা কাড়ে জুম পাহাড়ে মনটা বাঁধা থাকে,
তরু ছায়ে পাহাড় গায়ে জীবন ছবি আঁকে।

কঠোর শ্রমে যায় না দমে পাহাড়ের জুমচাষী,
ক্লান্তি ভুলে মজার ছলে আঁকবে ঠোঁটে হাসি।

পাখ-পাখালি গাছ-গাছালির জুম প্রকৃতি দেখে,
জীবন ভরে কেমন করে বাঁচার উপায় শেখে।

তারিখ ঃ ১৪/০৩/২০২৪ খ্রি
কমলছড়ি, খাগড়াছড়ি।