ঠাকুরঝির প্রেমে পড়ে
আমি মনে মনে ভাবি,
ছিলাম একটা সজা মানুষ
হয়ে গেলাম কবি।
কবিতার সুরে বললাম ঠাকুরঝি
বৌ হয়ে চলো আমার বাড়ি,
রেগে গিয়ে ঠাকুরঝি তখন,
মারল ঝাটার বাড়ি।
ঠাকুরঝির মিষ্টি ঝাঁটা খেয়ে
আমি ছুটলাম বাড়ি বাড়ি,
সঙ্গে সঙ্গে ঠাকুরঝি দৌড়ালো,
কোমরে বেঁধে শাড়ি,
দৌঁড়তে দৌঁড়তে ঠাকুরঝি বলে
দাড়া রে তুই পাঠা,
বউ বানাবি আমারে তুই
মারব তোরে ঝাঁটা।
তারপর ঠাকুরঝি কে আমি
হাত ধরে বলি,
একটা হাত কোমরে রেখে
আদর করে কিছুদূর চলি,
এমনি তুমি ঝাঁটা নিয়ে
করো যদি ফাইট,
সব লোকে বলবে তখন
আমরা হাসবেন্ড ওয়াইফ।
ঠাকুরঝি বললো লোকে যাই বলুক
তোমায় আমি ছাড়বো না,
হাই ভোল্ট দিয়ে তখন বলল
এইখানে হাত রাখো না।
আমার কাছে তোমার মতো অনেক আছে,
একা তোমার হতে পারবো না।
তুমি ঠাকুরঝি এ বলো আমায়
বউ হতে পারব না।
তখন ঠাকুরঝির হাতে একটা লাল জবা
রেখে দিলাম আমি,
বউ বানাবো তোমায় নিয়ে কত স্বপ্ন
দেখেছিলাম আমি,
আমাদের চার পাঁচটা বাচ্চা হবে
তাদের সাতে খেলা করব আমি,
আবার কানবে যখন বাচ্চাগুলো,
দুধ খাইয়া চুপ করাবে তুমি।
আমার কথা শুনে ঠাকুরঝির
টেম্পারেচার হলো হাই,
নিজের হাতের দিকে দেখে যখন
ঝাঁটা হাতে নাই,
এইবার ঠাকুরঝি পড়ে গেলো
এক ঘৌর চিন্তায়,
এই পাঁঠার সাথে বিয়ে করবো
আর কেউ নাই।
আমি ঠাকুরজি চিন্তিত মুখ দেখে
তারে জড়িয়ে ধরলাম,
কিছুক্ষণ পর তার নরম গালে
একটা ছোট্ট কিস করলাম,
ও আমায় কিছু বলতে পারলো না,
কিন্তু ছিল মনে মনে রাগ,
আমায় এক লাথি মেরে বলল
শালা এখান থেকে ভাগ।