বলে নাও বলে নাও তোমারি তো সময়
সময়টা যে কার সেটাই বোঝা যায় না,
বন্ধুর সংলাপের জবাব খুঁজে পায়না,
ওর ওই ছোট্ট কথার মধ্যে লক্ষ্য কথা,
ওর চুপিতে লুকিয়ে থাকে অনেক কথা,
বন্ধু আমার মনে মনে চিন্তা ভাবনা করে,
আমার কথাটির জবাব দেবে কি এবারে,
আমি যখন বলি কি ভাবছ গো বলো,
সব তুমি তো জানো কী ভাববো বলো,
তোমার মনের কথা আমি কি করে বলবো,
আমি তার ভগবান না, সব কথা জানব,
আচ্ছা এই কথাটি বাদ দাও অন্য কথা বল,
একটু কিছু বললে পরেই বলবে আবার,
বলে নাও বলে নাও তোমারি তো সময়।
বলে নাও বলে নাও তোমারি তো সময়
এই কথাটি বন্ধু আমার যখনই বলে,
চুপ করে আমি তখন শুনি কান খুলে,
বুঝতে পারি এইবার উঠবে ওর মুখের ঝড়,
একটার সাথে একটা কথা বলবে পর-পর,
কথার ঝড়ের সাথে সাথে থাকে অনেক মধু,
যখন বন্ধুর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকি শুধু।
বারবার ফোন লাগাই বন্ধু ফোন ধরে না,
আমি ফোন না করলে ও নিজে থেকে করে না,
জিজ্ঞেস করলে বলে ব্যস্ত থাকো সব সময়,
তাই তোমায় আমি ডিস্টার্ব করতে চাই না,
আমি মেসেজের রিপ্লাই সময়ের মতো পাইনা,
আর আমি যখন মেসেজ করি বন্ধুকে,
ওর নেটওয়ার্কের জন্য মেসেজ যায় না,
আমায় বলে ব্যস্ত মানুষ পাত্তা পাওয়া যায় না,
কথার মাঝখানে যদি বলে দি কখনো,
ওই কথাটা বলবে আবার সে তখনও,
বলে নাও বলে নাও তোমারি তো সময়।
বলে নাও বলে নাও তোমারি তো সময়,
সময়টার সাথে সাথে বাঁধা হয়ে যায় আমি,
আমার হাজার থাকলেও ওর কথাটা দামি,
ফোন করে বন্ধু বলছিল, আমি শুনছিলাম,
ওর সুমধুর কথা গুলোকে আমি শুনছিলাম,
ওর প্রত্যেকটি কথাতে এত ছিল ধার,
একটা একটা কথা কেটে যাচ্ছিল আমার,
তখন আমিও চুপ না থেকে বললাম,
বলতো ম্যাডাম আজ সময়টা কার,
হেসে হেসে বলল বন্ধু আরে দাঁড়াও
আজ অনেকদিন পর সময় এসেছে আমার।
আমি তখন বলি কোথায় আছ ভগবান,
ডাকছি আমি তোমায় একটুকু দাও ধ্যান,
সব লোকেরাই বলে নারী নাকি অবলা,
এই নারী বাজিয়ে দিচ্ছে আমার তবলা,
তখন আমি ধীরে বলি বলে নাও বলে নাও,
তার আগেই বন্ধু আমার মিষ্টি করে বলে,
বলে নাও বলে নাও তোমারে তো সময়।