হাঁটছি এখনও
হেঁটেছি অনেক বছর।
ছলকায় বুকে রক্ত হঠাৎ যেন,
ছেড়ে গেছে তারা কখন যে একে একে
রেখেছি যাদের যত্নে বুকের ভেতর।
ঘরেতে আমার ফুটো ছাদ, ভাঙা টালি
স্বপ্ন-বাগান কালবোশেখীর পরে
নিংড়ানো স্বেদে মাটিতে ফোটে নি পলাশ,
বেড়ার দেওয়ালে বেপরোয়া মাথা তোলা
বপিত বীজ আগাছার ছায়া ধ’রে।
তোমার জন্য মুক্ত আনবো ব’লে
সেই যে কবে আমার কর্মভূমি,
ডুবেছি সাগরে সে এক নেশার ঘোরে;
ছিন্নমূলে ক্রমশ পৃথিবী মৃত
অভিমানে একা দাঁড়িয়ে রইলে তুমি !
হাঁটছি এখনও
হেঁটেছি অনেক বছর।
বিকেলের তরী, ধীবরের জালে রাত
স্তব্ধ জোনাকি মৃত স্বপ্নের পাশে
ছিঁড়বে কিভাবে একটা নষ্ট ভোর !