রমজানের বিশ, বিশ্বের ইতিহাসের এক মহান মহাবিষ্ময়,
বিপ্লবের পুস্প বিকশিত হয়েছিল, হয়েছিল মক্কা বিজয়।
মনোজগত আলোড়িত বিজয়ের সে আলোকিত দৃশ্যে
রক্তপাতহীন এত বড় যুদ্ধ জয়ের ঘটনা ঘটেনি আর বিশ্বে।
এই সাফল্যের চাবিকাঠি ছিল শুধুই ঈমানের ঐশী দীপ্ত
ইতিহাস স্বাক্ষ্য অর্থবিত্তে সংখ্যায় মুসলমানেরা ছিল রিক্ত।
মুহাম্মাদ স. তৈরি করেছিল সৎগুণের অকুতোভয় শিষ্য
জানমাল কুরবাণী করে তারা প্রস্তত ছিল সর্বদা হতে নিঃস্ব।
এ বিজয় ছিল নিপীড়িত জনতার, ছিল জয়গান তাওহিদের
জাহেলিয়াতের নাগপাশ থেকে মুক্তি, বিজয় আনন্দ ঈদের!
যাদের প্রচণ্ড নির্যাতনে মুহাম্মদ (সা.)
প্রিয় জন্মভূমি মক্কা ত্যাগে হয়েছিলেন বাধ্য ,
তবুও বিজয়ে ছিল না কোন অহংবোধ প্রতিশোধ স্পৃহা,
যার উপমা-তুলনা ধরায় আজও আরাধ্য।
মহানায়ক রচনা করলেন মানবতার অনবদ্য কাব্য !
উদারতা ও ক্ষমার চাদরে ঢেকে ঘোষণা করলেন,
‘আজ আর কোনো অভিযোগ নেই, অপরাধী সবাই মুক্ত।
আপন মহিমায় তাদের ক্ষমা করে দিলেন তিনি-
যদিও ছিল তার প্রতিশোধ নেওয়ার সাধ্য !