চিত্ত আর ভাষ্যের আজন্ম বৈরিতা
বয়ে বেড়ায় দেহ ভেলা।
চিত্তের প্রমিতি সাঁতরে কণ্ঠনালী অতিক্রম;
মুখগহ্বরে প্রলংবিত দন্তাতঙ্ক -প্রকাশে নির্লজ্জ বৈপরিত্য !
স্বপ্ন আর বাস্তবের আজন্ম বৈরিতা
বয়ে বেড়ায় দেহ ভেলা।
পূর্ণিমার চাঁদ দেখি, বসি কল্পনার রাজসিক চেয়ারে।
রজনিগন্ধ্যা আর হাসনাহেনার মাল্য বিনিময়ে –
রাজনৈতিক বৈরিতা মিটিয়াছে, বসিয়াছে সভা;
ধনী-নির্ধন, আম-জনতা একই কাতারে বসা।
ঊষার আলোতে তন্দ্রা ভেঙ্গে দেখি-
অগ্নিদগ্ধের বিপরীতে বুলেটবিদ্ধের যন্ত্রণা
বৈরিতা বাড়ায়াছে ভারি।
শোনা আর দেখার আজন্ম বৈরিতা
বয়ে বেড়ায় দেহ ভেলা।
অসাধারণ বাগ্মিতায় চেতনার জাবর কাটার শব্দে-
দাঁড়ায় স্থির হয়ে।
বাস্তবে দেখি ঠিক বিপরীত কাজটা;
অঝোরে কাঁদে শৃঙ্খলিত বাক্-টা।
বৈরিতা নয় মৈত্রীতা চেয়েছি, চেয়েছি প্রেমের জয়
মিনতিভরে-দু’জনের কাছে ;
অস্তিত্বের নিরন্তর লড়াইয়ে ক্লান্ত আমি
মরণমাঝে লুকাতে চলেছি – এখনও হয়নি রফা।

কবিতাটি