ছেলে তাহাদের একটি, বুকের মাণিক ধনটি।
দিনে দিনে বড় হল, ছয় বছর পূরণ হল।
বাবু সোনা বলে ডাকে, সব সময় কাছে থাকে।
দিন কালের কথা ভেবে মরে, কোন স্কুলে ভর্তি করে।
যুগের সঙ্গে তাল মিলাই, প্রি-ক্যাডেট এ ভর্তি করাই।
দিনকাল বদলে যায়, মা ছেলে স্কুলে যায়।
না যেয়ে ভাই উপায় নাই, দুর্ঘটনার শেষ নাই।
জ্যামে পরে সময় যায়, এভাবে কয়দিন যায়।
রিক্সা অটো সি এন জি যাতেই যায়, বিরক্তি।
স্কুলে পৌছে যায় স্বস্তির নিশ্বাস পাই।
ছেলেরা বসে ক্লাস রুমে, মায়েরা বসে ওয়েটিং রুমে।
ক্লাসে ছেলেরা পড়ে, মায়েরা পেপার পড়ে।
আধুনিকতায় হাবু ডুবু খাই, টিফিন বক্সে নাস্তা খাই।
ভাল রেজাল্ট করাতে হবে, ধৈর্য্য ধরে পড়াতে হবে।
সব মায়েদের চেষশ্তা, ছেলেরা গড়বে দেশটা।
স্বদেশে বাড়িল করোনা ভাইরাসের হিংস্র গতি।
বন্ধ হইলো শিক্ষা ও সংস্কৃতি, বন্ধ দুয়ারে বন্ধী বিভিন্ন জাতি।
শিক্ষক শিক্ষাথী হারাইল স্বজন প্রীতি,করিল আকতি কে শুনিবে মিনতি।
দীর্ঘদিন শিক্ষাথী করিল গৃহ নিবাশ, শিক্ষাদপ্তর দিল অটো পাশ।
কেহ বলিল এটা সর্বনাশ, কেহ বলিল বাহ্ সাবাশ।
স্বদেশে শুরু হইলো ভাইরাসের টিকা নেওর পালা।
তবুও বন্ধ হইলো শিক্ষা সংস্কৃতির জাতীও বই মেলা।
এটা কি নিওতির খেলা ?