আমার দাদুর মটকা ভেঙ্গে গেল, এই যা!
নেই বুঝি আজ রক্ষে,
মাটিতে পড়ে আমি আর গুড় মাখা সারা শরীরে।
গুড়ের ঘ্রাণে জিভে জল আসে,
মাচার উপরে দাদী রেখেছে
তার পাশে বিশাল এক মটকা।
আজ বুঝি হতে হবে আমাকে বাড়ি ছাড়া।
দুপুর বেলা সবাই ঘুমিয়ে
চুপি চুপি যাই মাচার উপরে
যেই না মুখে গুড় একটা কামড় হয়
বাইরে হঠাৎ শব্দ শুনে পেলাম ভয়।
ধরা বুঝি গেলাম পড়ে, পালাতে চাইলাম দৌড়ে।
সামনে ছিল পাহারাতে মটকা,
এক ধাক্কায় ভেঙ্গে গেল পড়লাম আটকা।
সেই কুমড়ীর হাট থেকে,
কিনেছিল দাদু বহু আগে।
বাবা তখন ছিল ছোট দাদী কত খুশি হত,
বড় হয় বাবা মটকার ধান চাল গম খেয়ে খেয়ে।
আজ মটকা দিয়েছি শেষ করে।
খালি ছিল একদম ছিল না ধান তাতে
নতুন ধান উঠবে অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে।
কত গল্প যে আছে এই মটকা নিয়ে।
আর আজ শত দোষ পড়ল আমার ঘাড়ে গিয়ে।
বাইরে বেড়িয়ে দেখি দাদী দাঁড়িয়ে
আমায় দেখে ডাকছে দাদাকে
"কোই গো জলদি এসো, কান্দ দেখে যাও"
দাদা এসে দেখে আমি ভাঙ্গা মটকার সামনে দাঁড়িয়ে।
আমি ভাবলাম এইবার বুঝি আমায় দেয় তাড়িয়ে।
দাদা দৌড়ে এসে আমার হাত চেপে ধরে
দেখলাম আমার রক্ত ঝরছে
দৌড়াতে গিয়ে আঘাট পেয়েছি কেটেছে
আমায় বুকে নিয়ে বলিলেন "মটকা গেছে যাক,
ইসস, কত কেটেছে ডাক্তার ডাক।"