আমার দু'ফোটা নয়নাশ্রুই যদি হয়
তোর সুহাস্য প্রসন্নতার প্রতীক,
তবে আমি স্বীয় অক্ষি যুগল ভাসাবো
সপ্ত জলনিধির নোনা জলে।
আমার বারিধ-হৃদয়ই যদি হয়
তোর নিখাঁদ প্রফুল্লতার উৎস,
তবে শুধুই তোর পুলকতার জন্যে
আমি ভেঙে দেব স্বীয় সমস্ত সুখ-বৃত্ত।
যদি আমার প্রস্থানেই ঘটে
তোর হৃদয়ে সুখের অধিবাস,
তবে আমি মিলিয়ে যেতে রাজী
অপার-শূন্য কিংবা অসীমেও।
যদি আমার দগ্ধ-প্রতিকেই তুই
খুঁজে পাস গোলাপের নির্জাস,
তবে আমি হয়ে যাবো কয়লা
কিংবা পোড়ামাটির চিত্রকর্ম।
শুধু তোর ঐ কান্তমতী বদনে
অন্তত মিহির হাসি ফোটাতে,
আমি বরন করে নিতে পারি
সহস্র তিমির শঙ্কিত অমানিশা।
তবুও তোর অধর জোড়া যেন
স্নাত না হয় উষ্ণ অক্ষি সলিলে।
তুই থাক পুলক দীপ্ত আমার এই
নগণ্য অস্তিত্বের বিনিময়ে।