সবাই মরে গেছে, জীবনের রোজ কেয়ামত আজ
সূর্য উঠেছে পশ্চিমে, গগণে ধূসর সাজ!
অশনি ধরার রূপ, ভয়ে থরথর বুক
হানিছে আঘাত আজ- প্রলয় মেঘের তীব্র বাজ!
আসিছে আকাশ ফাড়ি, দূর দূরান্ত ছাড়ি,
ইসরাফিলের বাজছে শাঁক্,
চাপা কান্নার শুনছি ডাক!
সকলেই ঘড় ছাড়ি, পালায়েছে রাখি বাড়ি,
পেতে চাইছে একটু ফাঁক, বেজে উঠেছে ভয়াল শাঁক্।
নীল রঙ পরা শাড়ি, সুশ্রী শোড়ষী নারী,
ভয়ে'তে দিলো এমন হাক, শিশু কন্যার হলো প্রভাত।
গত যৌবনা নারী, আসিছে বাপের বাড়ি,
কেবল ধরিবে বাপের হাত, হঠাৎ শুনিছে বাজিছে শাঁক্!
সে জোরে জোরে কহে ডাক,
বাপেও কহে ডাক, ভাইয়েও কহে ডাক,
সবে আল্লাহ আল্লাহ ডাক, বাজিছে ভয়াল শাঁক্!
কবর হইতে আজি- করিতে তাহাকে রাজি উঠবে সকল মৃত লাশ,
বন্ধু স্বজন দুজন- কেউ কাউকে দিবেনা ডাক,
হানিছে আঘাত ভয়াল শাঁক্।
থরথর করে কাপছে নভঃ ম্লান হয়েছে তারার সাজ,
দুমড়ে গেছে পাহাড় গুলো ভেঙ্গে গেছে নদীর বাঁধ!
ঐ শুনা যায় প্রকট স্বরে ইসরাফিলও দিচ্ছে ডাক,
ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণিপাকে যাক এ ধরা ভেস্তে যাক!
কেউ রবেনা অন্ধকারে পাক হে সবাই মুক্তি পাক,
ঐ শোনা যায় সত্যি বাণী ইসরাফিলের বাজছে শাঁক্!
০৪.০৬.২০২২
রাত ১.২৬ মিনিট